যুগের পর যুগ চলে যায় ইতিহাসের পাতা উল্টে
বদলে যায় অনেক কিছুই
বদলে যায় শাসকের নাম,
কখনো রাজা কখনো জমিদার মন্ত্রী বা নেতা।
বদলায় না শাসকের মুখ আর লালসার জিভ।
মুখোশ বদলে বারবার নারী শরীরকে পুতুল বানিয়ে
আদিম বর্বরোচিত হিংস্র আক্রমণ চলে
হায়েনার মতো খুবলে খায় নারী শরীর।
ভুলুন্ঠিত হয় নারীর মান সম্ভ্রম রক্তাক্ত হয় শরীর।
হ্যাঁ শরীর, শরীর ছাড়া আর কি নারী?
ক্ষমতাবানের দম্ভ যুগে যুগে
নারীকে ভোগ করতে চায় আম্রপালি রূপে
ক্ষত বিক্ষত করে তার যৌন অঙ্গ আর কোমল শরীর।
সেই ক্ষমতাবানের ক্ষমতা প্রদর্শন এর ঘৃণিত প্রয়াস চলছে আজও।
দিল্লি উন্নাও কামদুনি থেকে মালদা মণিপুর
দিকে দিকে ধর্ষিতা হচ্ছে নারী,
সভ্য রূপী অসভ্যদের হাত নখ দাঁতের আক্রমণ
লজ্জা দিচ্ছে জঙ্গলের পশুদেরকেও।
সরকার পুলিস প্রশাসন মূক ও বধির
রাজনৈতিক লাভের হিসেব কষতে ব্যস্ত নেতারা,
আর দিকে দিকে শোনা যায় অত্যাচারিত নারীদের চিৎকার
আমরা নারী আমরাও মানুষ আমরা বাঁচতে চাই বাঁচতে দাও।
শহীদের রক্তে যে স্বাধীনতা এসেছিলো
সে স্বাধীনতা কি রচনা করবে ধর্ষণের ইতিহাস?
এ ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার রং কি ঢাকা পড়ে যাবে
রক্তাক্ত নারী শরীরের রুধীর ধারায়?
ওঠো জাগো ভারতবর্ষ
ফিরিয়ে আনো সেই আদর্শ,
যে আদর্শে পূজিতা হয়েছে নারী
সীতা সাবিত্রী দময়ন্তী রূপে মায়ের আসনে।
নইলে দেশের সমস্ত শহরে ও গ্রামে
অস্ত্র হাতে গাড়ি থেকে দলে দলে নামবে ধর্ষকের দল,
আর খুবলে খাবে দেশের অগণিত নারীকে
বিবস্ত্র করে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে।