চাঁদনী রাতে চৌমাথাতে চম্পকলাল চৌকিদার
চারটি চোরে পাকড়ে ধরে হাঁক পাড়ল খবরদার।
মস্ত মোটা লাঠি ঠোকে, খট্ খট্ খট্ আওয়াজ বুটে
বাজখাঁই রব, সাজটাই সব, মাঝরাতেতে চেঁচিয়ে ওঠে।
“জাগতে রহো গ্রামবাসী সব, ভাগতে রহো চোরডাকাত
আজকে সোজা চালান দেব,পার পাবেনা তার স্যাঙাত্।”
এই না বলে আনল দড়ি বাঁধল তাদের পেঁচিয়ে
রাতচরারা চমকে ওঠে যেই না ওঠে চেঁচিয়ে।
কান্না জোড়ে চোরের দলে, চৌকিদারের পড়ে পায়,
“কানটা ধরি, ছাড়বো চুরি, সৎপথেতেই করব আয়।”
চম্পকলাল দেখতে দামাল মনটা নরম তুলতুলে
চোরের চোখে অশ্রু দেখে বেজায় গেল মন গলে।
ভাবলে কোনো কাজ না পেয়ে তাইতো গরীব মানুষগুলো
বাধ্য হয়ে করছে চুরি সুযোগ পেলে হবেই ভালো।
ধমক দিয়ে বলল “শোন্ , কানটি ধরে একশো গোন্
আগের চুরির পাপের সাজা পেতে লাগে দেখ্ কেমন।
অবশেষে একশো করে ওঠা বসার শাস্তি শেষে
করল ক্ষমা, সুয্যি মামা পুব দিকেতে উঠল হেসে।।