দেখতে দেখতে ছটি বসন্ত আজ পূর্ণ হলো
একাকী নির্জনে বসে নবনীতা সেই হিসাব কষছে,
গুটিকয়েক মানুষের কাছে একটা সুখী পরিবার আছে
বাকী সবাই মিলে সুখী পরিবারের স্বপ্ন দেখছে।
একঝাঁক জংলী পাখী সারী বেঁধে উড়ে চলেছে
পড়ন্ত বিকেলে গোধূলির আলো মনে গাঁথা সেদিনের,
পলাশ বনে ডালে ডালে কুড়ি ভরে এসেছে
শুধু অপেক্ষা কিছু দিনের আর মৌমাছি প্রজাপতির।
কত জনের হিসাব কষতে বয়ে গেছে বেলা
আবার কেউ বা হিসাব মেলাতে ব্যস্ত সারাদিন,
অনন্ত যৌবনও সময়ের সাথে বয়ে চলে যায়
কখনও প্রেম এসে করে যায় উষ্ণ আলিঙ্গন।
বিরহিণী প্রিয়া অভিমানে দূরে সরে গেছে কখনও
শরতের শিউলি ফুলের মতো গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে,
সময়ের চাকা অবিরাম ঘোরে নেই কোনো বাঁধা
মন পাগলপারা শুধু ঘোরে ফেরে এদিক ওদিকে।
ক্রমশ বেড়েই চলেছে সেই বিরহের দিন গোনা
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার ঝুরি দুঃখ,
যেন অচেনা কোনো দ্বীপে একাকী নির্জনে বসে
কেউ নেই কোনোখানে ধূসর গোধূলি লগ্নে মুখ।
রাতের আঁধারে তারা খসা মনকে আপ্লুত করে
হৃদয়ে জাগে় নতুন আশার আলো চিত্ত চঞ্চল,
ক্ষণিকের অনুভূতিতে আবেগরা নতুন করে ডানা মেলে
দিনান্তে বিদায় নেয় যেন সব দুঃসহ অঞ্চল।।