নতুন সভ্যতার বুকের ভেতর এই যে ঘুমন্ত এক প্রাসাদ দেখছো
ভাঙা জীর্ণ ক্লান্ত হয়ে অবহেলায় অনাদরে দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি কি দেখেছো ওর নবযৌবনের সাজ?
গুপ্ত কুঠুরির ভাঙা কোটরে পরে আছে কি একটিও অলংকার ?
তবে আমায় এনে দেও পথিক ।
দীর্ঘ মাটির নীচে মিশে গেছে যে রঙ কোথায় সেই জলছবি!
কেউ কি নেই .. কিছু কি পরে নেই ..
একটি পালক এনে দিতে পারো পথিক ?
বহু দিনের বৃদ্ধ গাছ যে ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
ওদের শব্দ শুনেছ কিছু ?
তবে আমায় শব্দ দাও ।
ওই যে ঝুলন্ত উদ্যানে ঝোপের আড়ালে যে পেঁচা চেঁচিয়ে উঠলো প্রাসাদ কাঁপিয়ে
ওর চোখে কিছু দেখেছো কি ?
একটা শব্দ এনে দিতে পারোনা আমায়!
এই দেখো আমার চোখ ভিজে গেছে
এই দেখো কেমন ফুরিয়ে যাচ্ছি ব্যথায়
এই দেখো কেমন সমাধি হয়ে যাচ্ছি শুকনো পাতার স্তূপে।
এ কেমন বিসর্জন ?
রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ভাঙা ইটের দেওয়াল
দিনের আলোয় ফুটে ওঠে নতুন কিছু ক্ষত!
ওই আরও দূরে ফুটপাতের কোলাহল শুনতে পাও পথিক ?
ওদের বলো প্রলয় নিয়ে আসতে ..
আর নয় এই মৃত্যু যন্ত্রণা, এই জীর্ণ প্রাচীর গুলো ভেঙে যাক, ভেসে যাক .. মিশে যাক .. নতুন কোনো চরে ..
একটা ঝড় আছড়ে পড়ুক মহাশক্তি নিয়ে ..
একটা সমাপ্তি হোক চিরদিনের।