সন্ধ্যা নামলো আজ তাড়াতাড়ি
মেঘে মেঘে গেল বেলা
মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ে
তাই পুতুল পুতুল খেলা।
উইপোকা রোজ মাটি তোলে মনে জোনাকিরা জ্বালে আলো;
কেমনে বুঝাই তোমায়
কতখানি বাসি ভালো!
বৃষ্টি সবে এক-দুই ফোঁটা
মাটির সাথে মিশে,
সোঁদা ঘ্রাণে মন মাতালো
সঙ্গে চায়ের কাপে!
গল্প বইয়ের শেষ পাতা বুকে রেখে অদৃশ্য এক গন্ধ গায়ে মেখে এতত্ত্বের উপর না,
আর অজস্র ভাবনা…. মাঝে মাঝে গলায় নামে চা। ভাবনারা জট পাকায়, মস্তিষ্কের শিরায়-উপশিরায় আর ঠান্ডা অদৃশ্য হাওয়ায় ভেতর থেকে কাঁপায়।
দূরের মাঠে আবছা আওয়াজ রাতচোরা পাখি, আর শেয়াল যেন চেঁচায়। বৃষ্টি তখন ঝিরঝিরিয়ে পড়ে চোখ বুজোকা রেডিওতে বাজা ঘুরে চায়ের কাপে অবশিষ্ট সঙ্গে পড়ে অল্প কিছু বিস্কুটের গুঁড়া। পুঁনোর গন্ধে সর ভরে গেছে রামায়ন ও সঙ্গে কানে বাজে। আমি এখন
ছন্দ সাজায় মনে
প্রেমিকের রাগ কারণে, অকারণে
রাগগুলো তাই চায়ের ধোঁয়াই উড়াই অবশেষে চা’টা যখন ফুরাই
হলুদ চাদরে গা মুড়াই,
ভাবনারা বাঁধে কুঁড়ে ঘর
কাবু করেছে আমার শরীরে
অদৃশ্য এক পুরনো জ্বর।।