পেটের ক্ষুধা মেটবে বলে মিজোরামে দিলো
তারা পাড়ি।
ওখান থেকে টাকা পাঠালে তবেই চাপবে
ভাতের হাঁড়ি।
খিদের জ্বালায় কাঁদে বাবা মা পুত্র-কন্যা স্ত্রী।
তাদের জন্য আজকে তারা ভিন্ন রাজ্যের মিস্ত্রি।
পশ্চিমবঙ্গে কাজ নাই নাই কোন কলকারখানা।
তাই তো তারা মিজোরামে দিয়েছিলো হানা।
পরীক্ষার ফল ভালো ছেলেটি পড়তে
চেয়েছিল আরো।
স্বপ্ন চোখে নিয়ে সে যে নিথর হয়ে গেলো।
কেউ ভেবেছিল ঘরগুলো ভেঙে করবে
নতুন বাড়ি।
বাড়ি ফেরার পথে মার জন্য আনবে নতুন শাড়ি।
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়ে রয়ে গেলো ফিরলো না কেহ।
অ্যাম্বুলেন্সে আজ তাদের ফিরলো নিথর দেহ।
বাড়ি থেকে ফোন এলে হায় মন খুলে
হয় না তাদের কথা।
কে বুঝবে পরিযায়ী শ্রমিকদের বুক ফাঁটা
সেই ব্যথা?
একটু ভাতের আশায় তারা করে জীবনের লড়াই।
পেটের দায়ে কাজে গিয়ে কত শ্রমিক ভিন্ন রাজ্যেই
প্রাণ হারায়।