ব্যস্ততম দিনটা যখন হাপিত্যেশ রাতের কোলে মাথা রেখে শুতে চায়–
কিংবা কাঁধে মাথাটা এলিয়ে দিয়ে
সব ক্লান্তিটুকু ঢেলে দেয়
রাত্রির মমতা মাখা আঁচলে
পর্দাটা আচমকায় উড়ে এসে যখন চোখমুখে আলতো ছুঁয়ে, মাথায় বিলি কেটে যায়–
অদ্ভুত সুখানুভূতি, শান্তির মৃদুমন্দ পেলবতা হৃদয়ে আলোড়ন তুলে যায়।
দেখতে গেলে মানুষের চাহিদা কিন্তু ভীষণ কম–
সুন্দর ব্যবহার, নম্র আচরণ, ভালো ভাষা, নরম স্বরের আদূ্রে ডাক, একটু স্নেহ ও কদর, আলতো ছোঁয়া, বুকে জড়িয়ে ধরার ওম, দিনশেষে’র একটা প্রতিক্ষা,
ব্যস–
সুখী হবার জন্য আর বিশেষ কিছু তো প্রয়োজন নেই।
শিক্ষা গ্রহণ, অর্থ উপার্জন ওগুলো তো আনুষাঙ্গিক, বাঁচার প্রয়োজনীয়তা, বাধ্যবাধকতা–
আসলে ভালোবাসা, প্রেম–আলাদা করে কিচ্ছুনা,
ওগুলো সুখী-যাপনের সিন্দুক ভরা সুন্দর অমূল্য সম্পদ–
একটু জল, হাওয়া, রোদ, পরিবেশ পেলেয় বেড়ে ওঠে।
একটু প্রশ্রয় দেওয়া আর প্রশ্রয় পাওয়া–
ক্ষমতার আস্ফালনে হয় শুধুমাত্র দখলদারিত্ব–
সেখানে আর যাইহোক কোনো প্রাণ থাকেনা মন থাকে না।
একটা আশ্রয়‼
–নাহ্ ইঁট কাঠ পাথরের ইমারতের নয়,
কিংবা চোরাবালির উপর কোন তৈরি শিশমহলও না।
একটা ভালোবাসা মাখা ঘর–যেখানে মানুষের মাঝে কোন দেওয়াল থাকবেনা, গোঁসা করে খিল দেবার জায়গা থাকবেনা, অবাধ বিচরণে
সুস্থ -অসুস্থতায়, ভালো-খারাপে আপন মানুষের সাহচর্যে প্রতিটা মানুষের শান্তি নীড় একটা থাকুক।।