স্বপ্নে আজ নিজেকে দেখলাম।
নিজের স্বত্তাকে – ভালোবাসাকে।
দেখলাম, আমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে।
আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু তুমি নির্বিকার,
বুঝতেই পারছো না আমি আছি।
দেখলাম,
তোমার পরনে একটি টকটকে লাল ঢাকাই,
সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে লাল টিপ,
চোখে হালকা কাজল।
তোমায় দেখতে আহামরি কিছু নও।
অতি সাধারণ, আর পাঁচটা মেয়ের মতো।
কিন্তু,আজ তোমায় যে কি অপরূপ লাগছিল!
আমি ভাষাহীন হয়ে তোমার আমিকে দেখছিলাম।
নিজেকে দেখে কেউ এত মুগ্ধ হতে পারে
আগে জানতাম না।
দেখলাম,ও এসেছে তোমার কাছে।
এসে দাঁড়ালো তোমার পিছনে।
তুমি জানলা দিয়ে আকাশ দেখছিলে।
ও তোমায় ঘোরালো নিজের দিকে,
দুই হাতের করতলে সদ্য ফোঁটা গোলাপের মত
তুলে ধরলো তোমার মুখখানি।
লজ্জায় তোমার চোখ বন্ধ হোল।
ও তোমার কপালে এঁকে দিল স্নেহের চুম্বন,
তুমি এক স্বর্গীয় ভালোলাগায় ভাসতে লাগলে,
আশ্রয় নিলে ওর বুকে।
আমি দূর থেকে তোমার আমিকে দেখছিলাম
আর এক অদ্ভুত যন্ত্রনায় ভিতরে ভিতরে
কেঁদে উঠছিলাম।
মনে হচ্ছিল আমার পৃথিবী
তুমি আমার থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছ।
কিন্তু,
তা কি করে হয়?
তুমি তো আমারই প্রতিচ্ছবি
তাহলে এই কষ্ট কেন?
আমি কি তবে!
নিজের প্রতিবিম্বকেও হিংসা করছি?
আমার প্রিয়,ভালোবাসার মানুষকে কি
নিজের প্রতিবিম্ব থেকেও ভয় পাচ্ছি–
এ কেমন ভালোবাসা?
আমি ডুকরে কেঁদে উঠলাম,
এক অদ্ভুত যন্ত্রনা বোধ করছি।
ভীষণ ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো আমার।
হঠাৎ অ্যালার্ম এর শব্দে বুঝলাম
পুরোটাই ভ্রম।
আমি স্বপ্নে ছিলাম।
হেসে উঠলাম নিজের মনেই ।।