অবেলার কবিতা হতে চাই না কবি
পড়ন্ত বিকেলে ফিকে উত্তাপ মানি
গোধূলির রঙ না করে রঙিন আঁখি
অমলতাসে লাগে না আর দোল
বসন্ত শুধুই এখন একটা কাল
তুলছে না আর মনে কোন হিল্লোল।
পলাশ রঙা হৃদয় না আজ
গন্ধ বিহীন নিতেছি শ্বাস
জীবন বীণার তার ছিঁড়েছে
নূতন সুর আর না জাগে
সূর্যতপা কল্লোলিনী অবিশ্রান্ত নির্ঝরিনী
আমার বুকে ছন্দ না আজ তুলে।
তাইতো তোমায় শুধাই ওগো কবি
ভরা বসন্তে কোথায় ছিলে তুমি?
এলোকেশী কাজল ভরা আঁখি
রাঙা ঠোঁটে গোলাপ যেন ফুটি
নূপুর পায়ে নাচের তালে
লজ্জাবতী সে মেঠো পথে
ধানের ক্ষেতে ঢেউ তুলিয়ে
চলত যেন এক রাজকুমারী
তখন কেন হাতে নাও নি
তোমার প্রেমের কলমখানি?
পাহাড় কোলে হাসির রোলে
পাখির বোলে জীবন ভুলে
হারিয়ে যেতাম সঙ্গে পেতাম
নানান রঙের দিনগুলিরে।
আস্ত আকাশ আমার ছিলো
সাদা মেঘের স্বপ্ন ছিলো
সূর্য স্নানের পরশ ছিলো
আমার মনে বাদল ছিলো
তখন তোমার কলম কই
ঝরনা হয়ে ঝরলো না তো?
আজকে যেন মরা গাঙে
বাঁচার লড়াই সবাই জানে
তখন কেন আসে খবর
প্রেমের খেয়া ভাসাও জবর।
আকাশ আজ ধূসর যেমন
স্বপন সব ফিকে কেমন
মনের রঙ বিবর্ণ হলো
তখন তোমার সময় হলো।
বাঁশির সুরে বিষাদ বাজে
মনের ঘরে দুঃখ সাজে
হৃদয় এখন আবেগহীন
মরুর স্তরে জল বিহীন।
সুখের কবি আমার ঘরে আজ
দুখ দিয়ে তো হবে না তোমার কাজ
আমার আমি হারিয়ে গেছি
পাহাড় শেষে তেপান্তরের মাঠে
যতই খোঁজ আর পাবে না
কাজল রাঙা সোনাদিঘির ঘাটে ।।