এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুয়েত,২২ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দিনের (২১ ও ২২ ডিসেম্বর) কুয়েত সফরে। সফরের প্রথম দিনে তিনি আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও, তিনি ‘২৬ তম অ্যারাবিয়ান গাল্ফ কাপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । দুই নেতা একসঙ্গে ফুটবল অনুষ্ঠানও দেখেন।
আরবি ভাষায় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত অনুবাদ ও প্রকাশকারী দুই কুয়েত নাগরিক আবদুল্লাহ আল বারুন এবং আবদুল লতিফ আল নেসেফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকও হয়েছে । তাদের দ্বারা উর্দুতে প্রকাশিত রামায়ণ ও মহাভারত গ্রন্থের কপিতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী । কুয়েতের আমিরের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,’কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল সাবাহর সাথে দেখা করে আমি খুশি। আরব উপসাগরীয় কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সাথে দেখা হয়েছিল।’
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কুয়েতের আমিরের বৈঠকের তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদী কুয়েতের আমিরের ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দেশকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
প্রসঙ্গত,’আরবিয়ান গাল্ফ কাপ’ উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে খেলা সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টগুলির মধ্যে একটি। এতে অংশ নেয় কুয়েত, ইরাক ও ইয়েমেনসহ ৮টি দেশ। এটি প্রতি দ্বিতীয় বছর কুয়েতে খেলা হয়। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার জিতেছে কুয়েত । ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এনআরআইদের উদ্দেশ্যেও ভাষণ দেন। কুয়েতের রাজধানী ‘কুয়েত সিটি’তে শেখ সাদ আল-আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তার অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের নাম, ‘হালা মোদি’। আরবি শব্দ ‘হালা’-এর হিন্দি অর্থ- স্বাগতম। এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,’বিশ্বের দক্ষ প্রতিভার চাহিদা মেটাতে ভারত সম্পূর্ণভাবে সক্ষম ভারতেরও ‘বিশ্বের দক্ষতার রাজধানী’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়েতের ভারতীয় সম্প্রদায় ভারতের প্রতিভা, প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের সারাংশকে একত্রিত করেছে। আপনাদের সবাইকে দেখলে মনে হয় আমার সামনে মিনি ইন্ডিয়া। এখানে সর্বস্তরের মানুষের দেখা মেলে। কিন্তু সবার হৃদয়ে একটাই প্রতিধ্বনি- ভারত মাতা কি জয়।’
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি একজন ১০১ বছর বয়সী প্রাক্তন ভারতীয় ফরেন সার্ভিস অফিসার এবং দুই কুয়েতি নাগরিকের সাথে দেখা করেন। একই নাগরিক যারা আরবি ভাষায় রামায়ণ ও মহাভারত মহাকাব্য অনুবাদ ও প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১,৫০০ ভারতীয় নাগরিকদের একটি শ্রম শিবিরও পরিদর্শন করেন।
২২শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েতের আমির, যুবরাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, এর আগে ২১শে ডিসেম্বর সকালে কুয়েত পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত ৪৩ বছরের মধ্যে এটিই প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কুয়েত সফর।।