এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১৬ ফেব্রুয়ারী : পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতির সঙ্কট ক্রমশ গভীর হচ্ছে । এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে পাকিস্তানের সামনে এখন আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা খোলা নেই । সেই কারনে আইএমএফ-এর শর্তানুযায়ী জনগণের ওপর আরও বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে শাহবাজ সরকার । পাকিস্তান সরকার পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ২২.২০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১৭.২০ টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে । সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ২২.২০ টাকা, ডিজেলের দাম ১৭.২০ টাকা, কেরোসিনের দাম ১২.৯০ টাকা এবং লাইট ডিজেল তেলের দাম ৯.৮৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করেছে । পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের নতুন দাম হল : পেট্রোল প্রতি লিটার ২৭২ টাকা, হাই স্পিড ডিজেল প্রতি লিটার ২৮০ টাকা,
কেরোসিন তেল প্রতি লিটার ২০২.৭৩ টাকা,ডিজেল ২৮০ টাকা, লাইট ডিজেল তেল প্রতি লিটার ১৯৬.৬৮ টাকা ।
যদিও পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে রুপির অবমূল্যায়নকে দায়ী করা হয়েছে । কিন্তু আসল বিষয় হল,পাকিস্তানে জ্বালানির হার বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্বারা নির্ধারিত একটি অন্যতম শর্ত ছিল । সেই কারনে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে জেনেও আইএমএফকে সন্তুষ্ট করতে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকার ।
পার্লামেন্টে একটি নতুন সম্পূরক অর্থ বিল উত্থাপনের পর শেহবাজ শরীফ সরকারের জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় । সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ১৮ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছিল, যাতে পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ১৭০ বিলিয়ন টাকা কর বাড়াতে পারে ।
তবে শুধু পেট্রোলিয়াম পণ্যই নয়, পাকিস্তানে অনান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁওয়া । পাকিস্তানে দুধের দাম লিটার প্রতি ২১০ টাকা, মুরগির মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ টাকায় পৌঁছেছে । এবার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়ার পর পাকিস্তানে খাদ্য সামগ্রীর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।।