এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৪ নভেম্বর : তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় গত ১৬ নভেম্বর ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের পথে রওনা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘আর্টেমিস-১’ মহাকাশযান। নাসার লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জলের অনুসন্ধান করা । ‘আর্টেমিস-১’ এর অন্যতম মূল কারিগর হলেন নাসার বিজ্ঞানী হোয়ার্ড হু । মহাকাশযানটি সফলভাবে উৎক্ষেপনের পর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন,’২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে বসবাস করতে পারবে মানুষ । আমরা চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষ পাঠাবো । তাঁরা চন্দ্রপৃষ্ঠে থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবেন ।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চাঁদের কাছাকাছি আর্টেমিস। চাঁদে নভোচারীদের বয়ে নেওয়ার জন্যই ওরিয়নের নকশা করেছে নাসা। তবে পরীক্ষামূলক প্রথম মিশনে কোনো মানব যাত্রী নেই যানটিতে। বদলে তিনটি ম্যানিকিন পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পরের যাত্রা মহাকাশচারীদের নিয়ে যেতে সক্ষম হবে আর্টেমিস।
হোয়ার্ড হু জানিয়েছেন,আর্টেমিস প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ও যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হলে চাঁদে পুরোদমে মানব বসতি তৈরি করা যেতে পারে ।
১৯৭২ সালে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ ।আমেরিকার চন্দ্রাভিযাত্রী নীল আর্মস্ট্রং হলেন সেই ব্যক্তি । তারপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে চন্ত্রাভিযান হয় । ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-২ বিক্রমকে উৎক্ষেপন করেছিল । তার বছর দশেক আগে চন্দ্রযান-১ চাঁদ প্রদক্ষিণ করে ফিরে এসেছিল । কিন্তু দ্বিতীয় অভিযানে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার ঠিক আগে আগেই চন্দ্রযান বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । পরে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দাবি করে,ভারতের মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছিল । নাসার একটি মহাকাশযান থেকে ভারতের চন্দ্রযান বিক্রমের যেখানে অবতরণ করার কথা ছিল সেই ল্যান্ডিং সাইটের কিছু অস্পষ্ট ছবি তুকেও প্রকাশ করা হয়েছিল ।।