প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২২ ফেব্রয়ারী : পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরারের জন্য তৈরি হচ্ছিল গভীর নলকূপ।তার জন্য মাটির নিচে প্রায় ২৯০ ফুট গভীর পর্যন্ত পাইপ পোঁতা হয়ে গেলেও মেলেনা জল।পরিবর্তে সোঁ-সোঁ শব্দে পাইপ দিয়ে বেরিয়ে আসে গ্যাস আর আগুন ।এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার অন্তর্গত সমুদ্রগড়ের দক্ষিনবাটি এলাকার বাসিন্দা মহলে।তা জানতে পেরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌছে যায়।জল প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে দিয়ে এলাকাটি সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।এমনটা হওয়ার কি কারণ তা নিশ্চিত হতে ব্লকের বিডিও অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনে (ওএনজিসি)খবর দেন । ওএনজিসি’র প্রতিনিধিরা আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম দক্ষিণবাটি।গ্রামের মানুষজনকে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌছে দিতে গত শুক্রবার থেকে গভীর নলকূপ (সাবমার্সিবল) বসানোর কাজ শুরু হয় । গ্রামের বাসিন্দা কুদরুস আলী শেখ বলেন,মিস্ত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মেই নলকূপের পাইপ বসানোর কাজ করছিলেন।পাইপ মাটির নিচে প্রায় ২০৯ ফুট গভীর পর্যন্ত পৌছে গেলে বালি বা জল,কোন কিছুই মেলে না। কিছু একটা আছে সন্দেহ করে সন্ধ্যার মুখে মিস্ত্রীরা পাইপ তুল নিতে শুরু করেন।তখন সোঁ-সোঁ শ্বব্দ পাইপ পোঁতা জায়গার মাটির নিচ থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে। এরপর হঠাঁৎতই পাইপের মুখে দপ করে আগু জ্বলে ওঠে।আগুনের শিখা বেশ কয়েক ফুট উপর পর্যন্ত উঠে যায়। তা দেখে গ্রামের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি দমকলবাহিনীও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দমকল বাহিনীর লোকজন অনেক কসরত করে আগুন নেভায় ।
সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের প্রধান রনজিৎ দেবনাথ বলেন,’ দক্ষিণবাটি মৌজায় নতুন সাবমার্সিবল বসানোর কাজ চলছিল।মাটির নিচে অনেকটা গভীর পর্যন্ত পাইপ পুঁতে ফেলে মিস্ত্রীরা । কিন্তু ওই পাইপ দিয়ে জল না বেরিয়ে গ্যাস বের হচ্ছিল। দেশলাই জ্বালানো হতেই তাতে আগুন জ্বলে ওঠে। এমনটা দেখে জলপ্রকল্পটিকে আপাতত সিল করে রাখা হয়েছে।ঘটনার কথা ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়। ব্লকের বিডিও ওএনজিসিকে খবর দেয় । ‘ এলাকাবাসী মনে করছেন,দক্ষিণবাটি গ্রামে মাটির নিচে গ্যাস মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি জানান,ওএনজিসির প্রতিনিধিরা শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা চালিয়েছেন।সেই রকম কিছু তারা পায় নি বলেই তিনি শুনেছেন। হয়তো ওই জায়গায় গ্যাসের একটা পকেট ছিল।ওএনজিসি’র রিপোর্ট দিলে সবিস্তার জানা যাবে ।।