এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান)২৪ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রবিবার রাতভর ব্যাপক উৎপাত চালালো একজন রোগী ও তার পরিবারের লোকজন । তাদের উৎপাতে কার্যত বিনিদ্র রাত কাটাতে হয় বাকি রোগী ও তার পরিবারের লোকজনদের । শুধু তাইই নয়, আজ সোমবার দুপুর নাগাদ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারতে পর্যন্ত যায় তারা । শেষ পর্যন্ত উৎপাত করা রোগী আকবর মল্লিক (৫৫)-এর ছেলে মিলন মল্লিক ও স্ত্রী মিনা বিবি মল্লিককে আটক করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ ।
জানা গেছে,নদিয়ার বল্লভপাড়া ফেরিঘাটেরর কাছে বাড়ি আকবর মল্লিকের ৷ আকবর ও তার ছেলে মিলন মল্লিক আগে দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত৷ কয়েকমাস আগে বাড়ি ফিরে এসে বাবা ও ছেলে বাড়ির কাছে একটি পোশাকের দোকান খোলে । তারপর থেকে তারা বাড়িতেই রয়েছে । রবিবার রাতে আকবরকে অসুস্থ অবস্থায় কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । যেহেতু পুরুষ ওয়ার্ডে মহিলাদের থাকা নিষিদ্ধ তাই স্ত্রী মিনা বিবি মল্লিককে রাতে ওয়ার্ডে থাকতে দেওয়া হয়নি । যেকারণে তিনি বাড়ি ফিরে যান । আকবরের কাছে ছিল তার ছেলে ।
জানা গেছে, আকবর ও তার ছেলে মিলন রাতভর ব্যপক উৎপাত শুরু করে দেয়৷ তাদের উৎপাতে এতটাই তীব্র ছিল যে ওয়ার্ডের রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা রাতে ঘুমতে পারেনি বলে অভিযোগ । এদিকে আজ সাতসকালেই হাসপাতালে চলে আসেন মিনা বিবি । ভোর ৫ টা নাগাদ তিনি ওয়ার্ডের কোলাপসিবল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছেলের সঙ্গে বার্তালাপ করছিলেন । সেই সময় মহিলার ছেলে আবদার করে যে গেট খুলে তার মাকে ওয়ার্ডে ঢুকতে দিতে হবে । কিন্তু হাসপাতালের গেটে কর্তব্যরত কর্মী রাজি না হলে বাবা-মা ও ছেলে মিলে কোলাপসিবল গেট ধরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে । দুপুর নাগাদ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসককে হাতের কাছে পেয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে তারা । হাসপাতালের সার্জেন সুব্রত হালদার ডিউটিতে এলে তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে মিলন ও তাঁর মা। তারই মাঝে মা ও ছেলে মিলে ধাক্কা দিয়ে স্যালাইনের স্ট্যান্ড ও বোতল ছিটকে ফেলে দেয় । তুমুল চিৎকার শুরু করে । খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ । এরপর পুলিশ মা ও ছেলেকে থানায় নিয়ে যায় । তবে রোগী আকবর মল্লিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । কাটোয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুশান্ত বরণ দত্ত জানিয়েছেন, এনিয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করা হবে ।।