অথ সমাধিপদঃ।
অথা যোগানুশাসনম।
অর্থ : এখন যোগ সম্পর্কে অনুশাসন বা বিধি-উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।
যোগশ্চিত্তবৃত্তি নিরোধাঃ ॥ ২
অর্থ : যোগ হচ্ছে চিত্তবৃত্তির নিরোধ।
তদা দ্রষ্টুঃ স্বরুপেবস্থানম ॥ ৩
অর্থ : সেই অবস্থায় দ্রষ্টা স্ব-রূপে অবস্থান করে।
বৃত্তি সারূপ্যমিত্রাত্র। ৪
অর্থ : এই সময় বৃত্তি স্বরূপে অবস্থান করে, অন্য সময় বৃত্তি অন্যত্র অবস্থান করে।
বর্তস্য; বৃত্তয়ঃ পঞ্চতয্য ক্লিষ্টা অক্লিষ্টাঃ। ৫
অর্থ : বৃত্তি পাঁচ প্রকার – ক্লেশ সহ ও ক্লেশ বিহীন।
প্রমাণ বিপর্যয় বিকল্প নিদ্রা স্মৃতায়ঃ ॥ ৬
অর্থ : প্রমান অর্থাৎ প্রত্যক্ষ জ্ঞান ,বিপর্যয় অর্থাৎ বিপরীত জ্ঞান বা ভ্ৰম , বিকল্প অর্থাৎ প্রায় একই রকম, এর পর আছে নিদ্রা, ও স্মৃতি ইত্যাদি।
প্রত্যক্ষ অনুমান আগমঃ প্রমাণানি । ৭
অর্থ : প্রমান হচ্ছে তিন প্রকার – প্রত্যক্ষ, অনুমান, ও আগম অর্থাৎ আপ্তবাক্য।
বিপর্যয়ো মিথ্যা জ্ঞানম তদ্রুপ প্রতিষ্ঠম।
অর্থ : বিপর্যয় হলো মিথ্যা জ্ঞান অর্থাৎ আপাততঃ মনে হয় সত্য এবং সেইমতো জ্ঞান প্রতিষ্ঠা হয়।
শব্দ-জ্ঞানানুপাতী বস্তূ শূন্য বিকল্পঃ।
অর্থ : শব্দ জ্ঞানের অনুধাবনকারী বস্তূ বিহীন বিকল্প।
অভাব প্রত্যয়ালম্বনা বৃত্তিঃ নিদ্রা।
অর্থ : (জ্ঞানের) অভাবকে আশ্রয় করে যে প্রত্যয় বৃত্তি-তে হয় তাকে নিদ্রা বলে।
অনুভূত বিষয় অসম্প্রমোষঃ স্মৃতিঃ।
অর্থ : শুধুমাত্র অনুভূত হয়েছে, অন্যগুলো নয় , হচ্ছে স্মৃতি।
অভ্যাস বৈরাগ্যাভ্যাং তন্ নিরোধঃ।
অর্থ : অভ্যাস ও বৈরাগ্যের সাহায্যে এদের নিরোধ করতে হবে।
তত্র স্থিতৌ যত্ন অভ্যাসঃ।
অর্থ : এই অবস্থায় থেকে অর্থাৎ অভ্যাস ও বৈরাগ্যের সাহায্যে বৃত্তি নিরোধ ক্রিয়া অবিরাম অভ্যাস করে যেতে হবে।
স তু দীর্ঘকাল নৈরন্তর্য সৎকার আসেবিতো দৃঢ়ভূমিঃ।
অর্থ : সেই অভ্যাস কিন্তু দীর্ঘকাল আদরের সঙ্গে পালন করলে, তা দৃঢ় স্থান করে নেয়।
দৃষ্ট আনুশ্রবিক বিষয় বিতৃষ্ণস্য বশীকার সংজ্ঞা বৈরাগ্যম।
অর্থ : দেখা বা শোনা সমস্ত বিষয়ে বিতৃষ্ণাকারীর বাশিকার নামক বৈরাগ্য উৎপন্ন হয়।
তৎ পরং পুরুষখ্যাতেঃ গুনবৈতৃষ্ণ্যম্।
অর্থ : তারপর পুরুষখ্যাতি সিদ্ধ হলে গুণে বিতৃষ্ণার উদয় হয়।
বিতর্ক বিচার আনন্দ অস্মিতা রূপানুগমাৎ সম্প্রজ্ঞাতঃ।
অর্থ : বিতর্ক, বিচার, আনন্দ ও অস্মিতা রূপে অনুগমনের পরে যে অবস্থা বা সমাধি তাকে সম্প্রজ্ঞাত বলে।
বিরাম প্রত্যয় অভ্যাস-পূর্বঃ সংস্কার-শেষঃ অন্যঃ৷ ১৮
অর্থ : বিরামের প্রত্যয় অভ্যাস পূর্বক সংস্কারের যে শেষ অবস্থা তাকে অন্য অর্থাৎ সম্প্রজ্ঞাত থেকে অন্য অর্থাৎ অসম্প্রজ্ঞাত বলে।
ভব প্রত্যয়ো বিদেহ প্রকৃতিলয়ানাম্ । ১৯
অর্থ : বিদেহ ও প্রকৃতিলয় পুরুষদের ভব-প্রত্যয় হয়।
শ্রদ্ধা বীর্য স্মৃতি সমাধি প্রজ্ঞা পূর্বক ইতরেষাম্। ২০
অর্থ : শ্রদ্ধা, বীর্য, স্মৃতি, প্রজ্ঞা সমাধি দ্বারাই অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি লাভ হয়, অন্যথা নয়।
তীব্র সংবেগানাম আসন্নঃ। ২১
অর্থ : তীব্র বেগশালীদের সমাধি আসন্ন।
মৃদু মধ্য অধিক মাত্র ত্বাৎ ততো অপি বিশেষঃ। ২৩
অর্থ : বেগের মাত্রার তারতম্যে অর্থাৎ মৃদু, মধ্যে, বা অধিক বেগের জন্য আসন্ন সমাধির তারতম্য রয়েছে।
ক্লেশ কর্ম বিপাকশৈঃ অপরামৃষ্টঃ পুরুষ বিশেষ ঈশ্বরঃ ।। ২৪
অর্থ : অবিদ্যা জনিত যে ক্লেশ, ক্লেশ জনিত যে কর্মের উদ্ভব , আবার কর্ম জনিত যে ফল তার সঙ্গে যিনি অপরামৃষ্ট অর্থাৎ সম্মন্ধ বিহীন সেই পুরুষই ঈশ্বর।
তত্র নিরতিশয়ং সর্বজ্ঞ বীজম। ২৫
অর্থ : সেখানে সর্বজ্ঞ বীজ সদা সর্বদা বিরাজমান।
পূর্বেষামপি গুরুঃ কালেন অনবচ্ছেদাৎ। ২৬
অর্থ : তিনি পূর্ব পূর্ব গুরুদেরও গুরু, কারন কাল দিয়ে তাকে ছেদন করা যায় না।
তস্য বাচকঃ প্রণবঃ। ২৭
অর্থ : সেই বাচক অর্থাৎ শব্দই প্রণব বা ওঁ-কার।
তৎ জপ তদ্ অর্থ ভাবনম্। ২৮
অর্থ : তৎ অর্থাৎ প্রণব বা ওঁ জপ করো, এবং তার অন্তর্নিহিত অর্থ ভাবো। তারই জপ্ তারই অর্থ ভাবনা।
তৎ প্রত্যেক চেতন অধিগমঃ অপি অন্তরায় অভাবশ্চ। ২৯
অর্থ : তৎ অর্থাৎ এই ভাবে জপ্ করলে প্রত্যেক চেতনে অধিগমন হয় অর্থাৎ সমস্ত চেতনার জ্ঞান হয়, এবং সমস্ত অন্তরায় দূর হয় বা অন্তরায়ের অভাব হয়।
ব্যাধি স্তান্যং সংশয়ঃ প্রমাদঃ আলস্যাৎ অবিরতি ভ্রান্তি দর্শন অলব্ধ
ভুমিকত্বং অনবস্থিত ত্বানি চিত্ত বিক্ষেপাঃ তে অন্তরায়াঃ। ৩০
অর্থ : ব্যাধি, চিত্তের অলসতা, সংশয়, প্রমাদ, আলস্য, অবিরাম ভ্রান্তি দর্শন, অলব্ধ ভূমিকত্ব অর্থাৎ সমাধি লাভ করতে দেয় না। চিত্ত বিক্ষেপের কারন তাই এগুলি সমাধির অন্তরায়।
দুঃখম দৌর্মনস্য অঙ্গমেজয়ত্বং শ্বাস-প্রশ্বাসঃ বিক্ষেপসহ ভুবঃ। ৩১
অর্থ : দুঃখ, দূর্দমনস্য অর্থাৎ ইচ্ছায় বাঁধা সৃষ্টি হলে চিত্তে যে বিক্ষেপ জন্মায়, অঙ্গমেজয়ত্ব মানে শরীরের কম্পন, শ্বাস-প্রশ্বাস অর্থাৎ বায়ু গ্রহণ ও ত্যাগ, বিক্ষেপসহ ভুবঃ অর্থাৎ এই চিত্ত বিক্ষেপের সঙ্গে জন্ম। অদমনীয় এবং অপূরণীয় ইচ্ছার ফলে যে চিত্ত বিক্ষেপ হয় তাই দুঃখ।
তৎ প্রতিষেধার্থম একতত্ব অভ্যাসঃ। ৩২
অর্থ : তৎ অর্থাৎ এই দুঃখ উপশমের জন্য এক তত্বের অভ্যাস করা উচিত।
মৈত্রী করুনা মুদিতা উপেক্ষানাম সুখ দুঃখ পুন্যা-পুন্য বিষয়াণাং ভাবনাতঃ চিত্ত প্রসাদনম্। ৩৩
অর্থ : সুখী, দুঃখী, পুণ্যবান, অপূণ্যবান সবার প্রতি মৈত্রী, করুণা, মুদিতা অর্থাৎ হর্ষ বা উৎফুল্ল, উপেক্ষা – এইরূপ ভাবনা থেকেই চিত্ত প্রসন্ন হয়।
প্রচ্ছর্দন-বিধারণাভ্যাং বা প্রাণস্য। ৩৪
অর্থ : প্রাণবায়ু ছেড়ে দিয়ে সেই অবস্থাকে ধারণ করা অর্থাৎ কুম্ভক করলে চিত্ত স্থির করা যায়।
বিষয়বতী বা প্রবৃত্তিঃ উৎপন্না মনসঃ স্থিতি নিবন্ধিনী। ৩৫
অর্থ : বিষয়বতী অর্থাৎ কোনো বিষয়ের প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত হলে বা মনে উৎপন্ন প্রবৃত্তির প্রতি স্থিত হলে চিত্ত স্থির হতে পারে।
বিশোকা বা জ্যোতিষ্মতি। ৩৬
অর্থ : শোক রোহিত অথবা জ্যোতিতে স্থির হলে চিত্ত শান্ত হয়।
বীতরাগ বিষয়ং বা চিত্তম। ৩৭
অর্থ : বিষয়ে যার বীতরাগ অর্থাৎ বিতৃষ্ণা হয়েছে – সেই চিত্ত শান্ত।
স্বপ্ন নিদ্রা জ্ঞান আলম্বনং বা। ৩৮
অর্থ : স্বপ্নজ্ঞান বা নিদ্রাজ্ঞান ভাবনাতেও চিত্ত স্থির হয়।
যথাভি মত ধ্যানাৎ বা। ৩৯
অর্থ : যেমন যেমন নিজের অভিমত সেই বস্তুতে ধ্যান করলে চিত্ত স্থিত হয়।
পরমাণু-পরম-মহত্ত্বন্তঃ অস্য বশীকারঃ । ৪০
অর্থ : পরমাণু অর্থাৎ সুক্ষ থেকে পরম মহৎ তত্ত্ব অর্থাৎ স্থুল যা কিছুতেই আপনি ধ্যানের মাধ্যমে পৌঁছান তাতেই চিত্ত বশিকার অর্থাৎ পরম বৈরাগ্য লাভ হয়।
ক্ষীণবৃত্তেঃ অভিজাতস্য এব মণেঃ গ্রহীতৃ- গ্রহণ -গ্রাহ্যেষু তৎস্থ তদঞ্জনতা সমাপত্তিঃ। ৪১
অর্থ : ক্ষীনবৃত্তে অর্থাৎ বৃত্তি যার ক্ষীণ হয়েছে এমন চিত্ত মনি সম স্বচ্ছ। গ্রহীতা, গ্রহণ, ও গ্রাহ্য অর্থাৎ ধ্যেয় বিষয়ের মধ্যে তদঞ্জনতা অর্থাৎ তন্ময়তা বা স্থিতি এসেছে সেটাই সমাপত্তি অর্থাৎ জ্ঞানের সমাধি।
তত্র শব্দার্থজ্ঞান বিকল্পৈঃ সংকীর্ণা সবিতর্কা সমাপত্তিঃ। ৪২
অর্থ : সেখানে শব্দের যে জ্ঞান, শব্দের বিষয়ের যে জ্ঞান, আর উভয়ের মিশ্রিত যে একত্ত্ব তাকেই সবিতর্কা বলে।
স্মৃতি পরিশুদ্ধৌ স্বরূপ শূন্যে এব অর্থ মাত্র নির্ভাসা নির্বিতর্কা। ৪৩
অর্থ : স্মৃতি যখন পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, স্ব-রূপ অর্থাৎ অহং যখন শুন্য হয় বা বিস্মৃত হয় তখন লক্ষিত বিষয়েই স্থিত হয় – এবং এটাকেই বিতর্করহিত সমাপত্তি বলে ।
এতয়া এব সবিচারা নির্বিচারা চ সূক্ষ্ম বিষয়া ব্যাখ্যাতা। ৪৪
অর্থ : অতয়েব এই ভাবে বিচার দ্বারা নির্বিচারে পৌঁছে সূক্ষ্ম বিষয়ের ব্যাখ্যা করা হল।
সূক্ষ্ম বিষয় ত্বং চ অলিঙ্গ পর্যবসানম। ৪৫
অর্থ : সূক্ষ্ম বিষয়কে আবার শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করতে হবে।
তা এব সবীজঃ সমাধিঃ। ৪৬
অর্থ : সেগুলিই সবীজ সমাধি।
নির্বিচার বৈশারদ্যে অধ্যাত্ম প্রসাদঃ। ৪৭
অর্থ : নির্বিচার-বিশেষ অবস্থায় অধ্যাত্ম প্রসাদ লাভ হয়।
ঋতম্ভরা তত্র প্রজ্ঞা। ৪৮
অর্থ : যেখানে সত্য প্রতিষ্ঠিত সেখানেই প্রজ্ঞা। শ্রুত অনুমান প্রজ্ঞাভ্যম অন্য বিষয়া বিশেষ অর্থ ত্বাৎ। ৪৯
অর্থ : শোনা কথা, অনুমান এই দুটি জ্ঞান থেকে পৃথক, কারন তার বিশেষ অর্থ রয়েছে।তজ্জঃ সংস্কারঃ অন্য সংস্কার প্রতিবন্ধী। ৫০
অর্থ : সেই সংস্কার অন্য সংস্কারের প্রতিবন্ধী।
তস্যাপি নিরোধে সর্ব নিরোধাৎ নির্বীজঃ সমাধিঃ। ৫১
অর্থ : তারও নিরোধে, সবকিছুর নিরোধে নির্বীজ সমাধি।
।। ইতি শ্রীপাতঞ্জলে সাংখ্য প্রবচনে বৈয়াসিকে সমাধিপাদঃ।।
সমাধি পদ হল পতঞ্জলির যোগ দর্শন বা যোগ সূত্রের প্রথম অধ্যায়, এবং এটি যোগ অনুশীলনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং “সমাধি” নামে পরিচিত ধ্যানের সর্বোচ্চ অবস্থা অর্জন করে। সমাধি পদে, পতঞ্জলি যোগের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছেন, যা মনের ওঠানামাকে শান্ত করা, যাকে “বৃত্তি” বলা হয়, যাতে নিজের প্রকৃত প্রকৃতি অনুভব করা যায়। এটি “সমাধি” অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়, গভীর একাগ্রতা এবং ধ্যানের একটি অবস্থা যেখানে ব্যক্তির চেতনা একত্রিকরণে বস্তুর সাথে মিশে যায়, পর্যবেক্ষক এবং পর্যবেক্ষকের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি অতিক্রম করে।
সমাধি পদ বিভিন্ন ধরণের সমাধি এবং সেগুলি অর্জন করা যায় এমন পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে আলোচনা করে। এই অধ্যায়ের একটি কেন্দ্রীয় ধারণা হল “চিত্ত-বৃত্তি-নিরোধ”, যা মনের জিনিসের স্থির বা শান্ত বা “চিত্ত” বোঝায়।
সমাধি অর্জনে বাধা দেয় এমন বাধা এবং বিক্ষিপ্ততাগুলিও সমাধি পদে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আকাঙ্ক্ষা, সংযুক্তি এবং বিদ্বেষ। পতঞ্জলি এই বাধাগুলি অতিক্রম করার জন্য একটি পথ উপস্থাপন করে “যম” এবং “পালন” (নিয়ম) অনুশীলনের মাধ্যমে।
সমাধি পদ দুটি ধরণের সমাধির মধ্যে পার্থক্যও অন্বেষণ করে: “সবিকল্প” (যোগ্য) এবং “নির্বিকল্প” (অযোগ্য)। সবিকল্প সমাধি হল একাগ্র এবং স্থির মনের একটি অবস্থা, কিন্তু মনোযোগের বস্তুর সাথে একীভূত হওয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। অন্যদিকে, নির্বিকল্প সমাধি হল সেই অবস্থা যেখানে মন সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয় এবং লক্ষ্য বস্তুর সাথে মিশে যায়, যার ফলে আত্মবোধের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটে।
সংক্ষেপে, পতঞ্জলির যোগসূত্রের সমাধি পদটি যোগের মৌলিক নীতিগুলিকে মনকে শান্ত করার এবং সমাধি অনুশীলনের মাধ্যমে আত্ম-উপলব্ধি অর্জনের উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে। এটি বিভিন্ন ধরণের সমাধি প্রবর্তন করে, বাধাগুলি অতিক্রম করার পথের রূপরেখা দেয় এবং মুক্তি ও আত্ম-উপলব্ধি অর্জনের জন্য সমাধির সর্বোচ্চ অবস্থার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।।