এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানপুর(ইউপি),২৯ নভেম্বর : উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি বন্ধ মাদ্রাসায় গত ২৭ নভেম্বর একটি পুরুষ কঙ্কাল পাওয়া গেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ২৮ নভেম্বর ওই এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলা দাবি করেন যে কঙ্কালটি তার নিখোঁজ ছেলে আয়ানের । মহিলা বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনি স্থানীয় থানায় শিশুটির নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেছেন বলেও জানানো হয়েছে। এই শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ এখন ওই নারীর ডিএনএ পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। এ জন্য কঙ্কালের নমুনাও নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি কানপুরের জাজমউ এলাকার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদ্রাসার নাম মাদ্রাসা কাদরিয়া উলূম। প্রায় তিন বছর ধরে এটি বন্ধ রয়েছে। পারভেজ আখতার, যিনি এটি চালাতেন, তিনি চার বছর আগে মারা যান। তার ছেলে হামজা জানান, মাদ্রাসা বন্ধের পর থেকে কেউ সেখানে যায়নি। বুধবার কেউ মাদ্রাসার গেটের তালা ভাঙা ভিতরে ঢুকলে এলাকার লোকজন তার সাথে ভেতরে যান। সেখানে একটি ঘরে একটি নতকঙ্কাল দেখতে পান তারা । তার হাত-পা ছড়িয়ে ছিল বলে জানা গেছে।
এরপর বৃহস্পতিবার এগিয়ে আসেন আজবুন নিশা নামের এক নারী। সে মাদ্রাসা থেকে অল্প দূরে থাকে। আজবুন দাবি করেন, এই কঙ্কালটি তার ছেলে আয়ানের। মহিলাটি বলেছিলেন যে ১২ বছর বয়সী আয়ান ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট, বাড়ির কাছে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনি বলেন, ছেলে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ছিল। তার নিখোঁজ তথ্য তার পরিবারের সদস্যরা জাজমউ থানায় ওই বছর ২৫ আগস্ট,দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তল্লাশি করে। পরিবারের সদস্যরাও পোস্টারও ছাপিয়েছিল। কিন্তু,ছেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন মাদ্রাসা থেকে পাওয়া কঙ্কালের সঙ্গে আয়ানের নিখোঁজ হওয়ার যোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন ।
পুলিশের অনুমান, মাদ্রাসায় অনেক দিন ধরে দেহটি পড়ে আছে। পুলিশ তদন্তের জন্য দেহটি পাঠিয়েছে। এদিকে, এলাকার লোকজন প্রশ্ন তুলছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে শিশুটি মাঠে খেলছিল, তারপর বন্ধ মাদ্রাসার ভেতরে কীভাবে পৌছালো এবং ভেতরে তার কি হয়েছিল? কার নরকঙ্কার তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।।