সঙ্কল্প দে,বীরভূম,২২ জানুয়ারী : পাণ্ডবেশ্বর তথা খনি অঞ্চলে সর্বপ্রথম তৈরি হতে চলেছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। অজয় নদীর পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর মহাশ্মশানে বসবে এই চুল্লিটি । মঙ্গলবার সেই কাজের শিলান্যাস করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । এর ফলে শবদাহ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সুবিধা হবে বলে জানান তিনি ।
দুর্গাপুরের বীরভানপুর ও রানীগঞ্জ সংলগ্ন মেজিয়া শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা রয়েছে । ফলে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদাহের জন্য জন্য এতদিন খনি অঞ্চলের মানুষজনকে সেখানে যেতে হতো । কিন্তু খনি এলাকা থেকে এই দুটি জায়গার দূরত্ব যথেষ্ট বেশি । এবার অবশ্য সেই সমস্যা থাকবে না । কারন অজয় নদীর পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে উখরা রোটারি ক্লাব ।
জানা গেছে, প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে “দে গ্রুপ” নামে একটি বেসরকারি সংস্থা । সিএসআর প্রকল্পে তারা এই টাকা অনুমোদন করেছে ।বৈদ্যুতিক চুল্লি ছাড়াও আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন নিয়ে সর্বমোট প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে প্রকল্পটির উদ্বোধনের কাজ শুরু হল । কাজের সূচনা করলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দে গ্রুপ সংস্থার দুই কর্ণধার বিশ্বদ্বীপ দে, সন্দীপ দে সহ অন্যরা ।
বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শুধু পাণ্ডবেশ্বর নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলার মানুষজনও এর সুবিধা পাবে ।এখানে দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি থাকবে । প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেটি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির হাতে হস্তান্তর করা হবে । ২০২৬ সালে জানুয়ারির মাস থেকে এখানে শবদাহ করা যাবে বলে তিনি জানান ।।