জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম,০১ ফেব্রুয়ারী : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ নামে একটি মোক্ষম অস্ত্র বাজারে এনেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রীমো তথা তৃণমূল নেতাকর্মীদের ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কারা পেলো,কারা বঞ্চিত হল তার হিসাব নেওয়ার জন্য বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে তিনি গড়েছেন ‘দিদির দূত’ টিম । যদিও মাঝে মধ্যেই দিদির দূত’দের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে । তাই ভাবা হয়েছিল ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ এর বার্তা নিয়ে ‘দিদির দূত’-রা হয়তো এবার মানুষের দরজায় কম যাবে। কিন্তু আউশগ্রাম-১ ব্লকের ওয়ারিশপুর, বননবগ্রাম প্রভৃতি গ্রামের মানুষরা উল্টো চিত্র দেখা গেল । মঙ্গলবার সেখানে দেখা গেল রীতিমতো আদাজল খেয়ে আসরে নেমে পড়েছে ‘দিদির দূত’রা ।
গত ৩১ শে জানুয়ারি দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে সফল করার জন্য আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি দেবাঙ্কুর চ্যাটার্জ্জীর নেতৃত্বে যুব তৃণমূলের সদস্য হৃত্বিক ঠাকুর, অনুপম পাল, তৌফিক মন্ডল, শ্যামসুন্দর প্রামানিক, দেবব্রত মল্লিক প্রমুখরা পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে। সঙ্গে ছিল দলের স্থানীয় কর্মীরা।দলের নীতি অনুযায়ী একের পর এক মানুষের মুখোমুখি হয় তারা। মনযোগ দিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ শোনে ও লিপিবদ্ধ করে।
পরে যুব সভাপতি বলেন,’কখনোই দাবি করবো না একশ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা ‘দিদির’ উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও ছোটখাটো দু’একটা ঘাটতি থেকে গেছে। দ্রুত সেইসব ঘাটতি যাতে পূরণ হয় তার জন্য দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবো ।’
অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বললেন,’এটাই হলো তৃণমূল কংগ্রেস, মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হওয়ার সাহস যাদের আছে। দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের পাশে আমরা সারা বছর ধরে থাকি। ফলে মানুষের কাছে যেতে আমাদের সমস্যা হয় না। নির্দিষ্ট কর্মসূচি না থাকলেও এইভাবেই আমাদের প্রতিটি শাখা-সংগঠনের সদস্যরা মানুষের কাছে যাবে ।’।