এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়ডা,১২ জুলাই : প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে আসা মহিলা সীমা হায়দারকে নিয়ে এখন তোলপাড় ভারত ও পাকিস্তান । এদিকে ওই মহিলার কিছু বিষয় নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন,দেখা দিয়েছে উদ্বেগও । মহিলার কথায় তিনি পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ । কিন্তু তাঁর কথাবার্তায় অল্প শিক্ষার কোনো ছাপ নেই । হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষাতে সাবলীল ওই মহিলাকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে । এছাড়া মহিলার একাধিক জন্মের শংসাপত্র,আধার কার্ড,ভাঙা মোবাইল ঘিরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে,নিছক প্রেম নাকি এর পিছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে । প্রেমের আড়ালে কি পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে ভারতে এসেছেন ওই মহিলা? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এখন ।
জানা যাচ্ছে,সীমা হায়দারের কাছ থেকে ১টি পাকিস্তানি সিমকার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন, ৪ টি জন্ম শংসাপত্র(যেখানে বয়স আলাদা),একটি পাকিস্তান আইডি কার্ড,বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেট, ৩ টি আধার কার্ড,৬ টি পাসপোর্ট,পোখরা থেকে দিল্লি বাসের টিকেট, ২ টি ভিসিআর ক্যাসেট উদ্ধার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ । কিন্তু সীমার কাছে থেকে পাওয়া ৪ টি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি পাকিস্তানি মোবাইল ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে । যা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন ভাঙা ফোন রেখেছিলেন সীমা? সীমা জানায় তার পাকিস্তানি ফোন নষ্ট হয়ে গেছে । সীমার পাকিস্তানি ফোন কীভাবে ভেঙে গেল? এর উত্তরও খুঁজছে পুলিশ । এছাড়া সীমা হায়দারের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন থেকে অনেক চ্যাটও মুছে ফেলা হয়েছে । পুলিশ চ্যাট মুছে ফেলার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সীমাকে ।
সীমার বয়সের বিবৃতিতেও অমিল রয়েছে। সীমার পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ পয়লা জানুয়ারী ২০০২ । সেই অনুযায়ী, সীমা হায়দারের বয়স এখন ২১ বছর, কিন্তু সীমা তার বয়স বলেছে ২৭ বছর। এমতাবস্থায় এটা পরিষ্কার যে হয় সীমা মিথ্যা বলছে নাকি তার পরিচয়পত্র জাল । শুধু তাইই নয়, সীমা হায়দারের কাছ থেকে ৪টি জন্ম শংসাপত্র, ৩টি আধার কার্ড ও ৬টি পাসপোর্ট নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে । একজনের এত পরিমান জন্ম শংসাপত্র ও পাসপোর্ট কেন ও কি উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা ।
এদিকে সীমা হায়দার সঙ্গে তাঁর স্বামী গোলাম হায়দারের ফোনে কথা বলানোর ব্যবস্থা করিয়ে দেয় বৈদ্যুতিক চ্যানেল টিভি ৯ ভারতবর্ষ । সেখানে সীমা তার প্রাক্তন স্বামীকে তালাক দেওয়ার অনুরোধ করেন । সীমা দাবি করেন,ভারতে থাকলে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে । যদিও গোলাম হায়দার তালাক দিতে অস্বীকার করেছেন ।।