এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ জানুয়ারী : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একবার সংসদে জোরের সঙ্গে বলেছিলেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্দ অংশ,ভারত তা হাসিল করবেই । সিংহভাগ ভারতবাসীও চায় পিওকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হোক । এমনকি পিওকের জনগনও ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য জোরদার আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে । কিন্তু ভিন্ন মত পোষণ করে এরাজ্যের মাধ্যমিক পর্ষদ । আর সেই মতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অল বেঙ্গল টিচার্স এসোসিয়েশনের (ABTA) এবারের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে । টেস্ট পেপারের ১৩২ নম্বর পাতায় “উপবিভাগ ২.৪’-এ “প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখা মানচিত্রে নিম্ন লিখিত স্থানগুলি নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত ও নামাঙ্কিত করো” শীর্ষক প্রশ্নের প্রথমেই “আজাদ কাশ্মীর”কে চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়েছে । আর এনিয়ে শুরু হয়ে গেছে জোর বিতর্ক ।
টেস্ট পেপারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ লিখেছেন,’২০২৩ সালের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে ১৩২ নং পেজের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রের চিহ্নিত অংশটি দেখুন। পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরের অংশটিকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। এই রাজ্য সরকার শুধু জঙ্গিদের মদতই দেয় না, ছোট ছোট পড়ুয়াদের মধ্যে ভারত বিরোধী মানসিকতা তৈরি করতে চাইছে ।’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার অভিযোগ করেছেন যে প্রশ্নকর্তা “সন্ত্রাসবাদকে অনুপ্রাণিত করছে”। সেই সঙ্গে বইটির বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি । তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন,’যিনি প্রশ্নটি তৈরি করেছেন তিনি দেশবিরোধী । তিনি পড়ুয়াদের সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন । এটা লজ্জাজনক। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীর উচিত তাকে চিঠি লেখা এবং এই টেস্ট পেপার বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত । আমি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে এ বিষয়ে অবহিত করব এবং সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’
বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি ইংরাজী কাগজে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত খবরের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’ভারত ভাঙা শক্তি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার গভীরে প্রবেশ করেছে । একটি পরীক্ষাপত্রে “আজাদ কাশ্মীর” এর উল্লেখ উদ্বেগজনক । রাজ্য সরকার কি বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার করছে ? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ । লজ্জা।’যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেও এযাবৎ সিপিএম বা কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বকে মুখ খুলতে শোনা যায়নি । এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এযাবৎ কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি ।।
ছবি : এবিটিএ-এর প্রশ্নপত্র ।