এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু(পাকিস্তান),০২ জানুয়ারী : একের পর এক ঘটনায় প্রমানিত হচ্ছে পাকিস্থান ও বাংলাদেশের হিন্দুরা কতটা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন । ফের পাকিস্থানের নৃশংসভাবে খুন হলেন এক হিন্দু বিধবা মহিলা । তাঁকে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে খুন করল সেদেশের ইসলামি জিহাদিরা । ঘাতকরা নৃসংশতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে প্রথমে মহিলার স্তন কেটে ফেলে । তারপর শিরোচ্ছেদ করে গোটা শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে দেয় নরপশুর দল । শিহরিত করার মত এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সিজোরোতে (Sinjhoro) । নিহতের নাম দয়া ভেল (Daya Bhel) । এদিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরেও এফআইআর নথিভুক্ত করেনি পুলিশ । শেষে চাপে পড়ে এফআইআর নথিভুক্ত করতে বাধ্য হয় তারা । যদিও গত ২৮ ডিসেম্বরে এই ঘটনা ঘটলেও এদিন পর্যন্ত খুনিদের নাগাল পায়নি পুলিশ । স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশ আদপেই কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না ।
জানা গেছে, বছর চল্লিশের নিহত দয়া ভেলের পাঁচ সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি তার স্বামী মারা গেছেন।পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা সাংসদ তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেত্রী কৃষ্ণা কুমারী (Krishna Kumari) টুইটারে লিখেছেন,’তারিখ ২৮/১২/২২ । ৪০ বছর বয়সী দয়া ভেল গতকাল সিনঝোরোর কাছে কৃষি ক্ষেত থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন । তার মৃতদেহ সরিষা ক্ষেতে খুব খারাপ অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং পুরো মাথার মাংস কেটে ফেলে দিয়ে গেছে জানোয়ারা ।’
এদিকে এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত । সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে রিপোর্ট দেখেছি, কিন্তু আমাদের কাছে মামলার সুনির্দিষ্ট বিবরণ নেই । তবে আমরা বারবার বলেছি যে পাকিস্তানের উচিত তার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা ও তাদের নিরাপত্তা দেওয়া ।’
প্রসঙ্গত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দুদের খুন, অপহরণ ও ধর্ষণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। মুসলিম যুবকদের দ্বারা জোর করে হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা আকছার ঘটে । মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যে দৈনিক মজুরি চাওয়ার অপরাধে এক হিন্দু মহিলাকে ছিনতাই, ধর্ষণ এবং নির্যাতন করা হয়েছিল। যদিও আজ পর্যন্ত ওই মহিলা কোনো সুবিচার পাননি ।।