এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ ফেব্রুয়ারী : ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করিয়ে সেন্ট্রাল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে (সিএপিএফ) চাকরির অভিযোগে শনিবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার ৮ জায়গায় হানা দিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) । জানা গেছে,কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল । সুবিধা পেতে অনেকে শংসাপত্র তৈরি করে নেয় । প্রার্থীরা জাল আবাসিক শংসাপত্রের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী এবং সিএপিএফ-এ অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছিল । এতে প্রার্থীরা নিজেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা দেখিয়ে কম নম্বর পেয়েও নিয়োগ পেয়ে যায় । এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন অনেকে। সুবিধাভোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছে বলে খবর ।
এই ঘটনায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল কিছুদিন আগে । ভুয়া শংসাপত্র দিয়ে আধা সামরিক বাহিনীতে চাকরির ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে তদন্ত হস্তান্তর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর গত বছরের আগস্টে তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়োগ র্যাকেট চালাতে থাকা ব্যক্তিদের আস্তানায় শনিবার অভিযান চালানো হয় । এসব ব্যক্তিরা ভুয়া আবাসিক সনদ তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল।
ভুয়ো ডমিসিল সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র তৈরির চক্রের পান্ডাদের বাড়িতে শনিবার মূলত তল্লাশি চলে । এর মধ্যে অন্যতম বসিরহাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটির বাসিন্দা এক ব্যক্তি রয়েছে । তিনি জেলাশাসকের দপ্তরের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পদে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসসি, এসটি ও ওবিসি সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রজতকান্তি মণ্ডল বলে জানা গেছে । তাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বেশ কিছুদিন আগে শোকজ করা হয়েছিল । তবে দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা তল্লাশির পর তার বাড়ি থেকে সিবিআই বিশেষ কিছু পায়নি বলে জানা গেছে ।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জে সেনগুপ্ত, ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের জমা দেওয়া উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে এটি প্রতীয়মান হয় যে অন্যান্য রাজ্যের লোকেরা, বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আগত বাসিন্দারা মূলত জাল নথি তৈরি করে নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেছে । তাদের আবাসিক শংসাপত্র, ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট এবং জাত শংসাপত্র সবই জাল। ভারতীয় বাহিনীতে চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য বিদেশি নাগরিকরাও একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন কিনা তা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের বিষয় বলে তিনি জানান ।।