এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইতালি,২১ অক্টোবর : ইউরোপীয় দেশগুলিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা । তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণ ও ডাকাতির মত ঘটনা । অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা লাগাতার অপরাধের জেরে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সেদেশের মানুষ । দিনের বেলাতেও মেয়েদের প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে । নিজের সাথে ঘটে যাওয়া এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণনা করেছে ইতালির মিলানের বাসিন্দা মার্গারিটা ডি পম্পেইস (Margherita De Pompeis) নামে এক ২১ বছরের তরুনী । নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বর্ণনা করেছে কিভাবে তিনি আরবের দুই মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর আক্রমণকে প্রতিহত করেছিলেন । ভিডিওটি ৭০ লক্ষ ভিউ হয়েছে ।
শুরুতেই মার্গারিটা ডি পম্পেইস বলেছেন,’আমাকে এই ভিডিওটি তৈরি করতে হবে কারণ পরিস্থিতি এখানে ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে ।’ এরপর তিনি ঘটনার বিবরণে বলেছেন,’আমি আমার এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সান বাবিলার পিছনে ভিয়াল বিয়াঙ্কা মারিয়া অতিক্রম করছিলাম। কিন্তু আমি ট্র্যাফিকে আটকে যাই । সেই সময় আরবের দুই যুবক খুব খারাপ পোশাক পরে সেখানে আসে । তারা আমায় দেখে নোংরা অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে । তখন আতঙ্কে আমি কাঁপতে শুরু করি । সৌভাগ্যক্রমে, আমি একটি ট্যাক্সি দেখলাম যেটি আমার দিকে আসছে। তাই গাড়ি থামানোর জন্য চিৎকার করে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়ালাম। তখন ছেলে দুটি আমাকে তাড়া করতে থাকে এবং আরবীতে চিৎকার করে কিসব একটা বলতে থাকে।সৌভাগ্যবশত, ট্যাক্সি এসে আমার ও তাদের মাঝখানে দাঁড়াল এবং আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিল। ট্যাক্সি চালক আমার কাছে দেবদূত ছিল,ঠিক সময়ে তিনি উপস্থিত না হলে আমাকে ধর্ষণ ও ছিনতাই করত কারণ এটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ট্যাক্সি চালক খুব সদয় ছিল, সে আমাকে কিছু না জিজ্ঞেস করেই বাড়িতে নিয়ে গেল। তিনি আমাকে আরও বলেছিলেন যে আগের রাতে তিনি পোর্টা ভেনেজিয়াতে আমার মতো পরিস্থিতি থেকে আরেকটি মেয়েকে বাঁচিয়েছিলেন ।’
ভিডিওটির বর্ণনায় তরুনী সরাসরি কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,’মিলান এমন একটি শহর যেখানে এমন অনেক উন্মত্ত দল রয়েছে এবং দুর্ভাগ্যবশত এমন অনেক লোক রয়েছে যারা সবসময় ট্যাক্সি নেওয়ার সামর্থ্য রাখে না । অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই… অনেকে মনে করবে দল বেঁধে বা দিনের বেলায় ঘুরে বেড়ানো নিরাপদ, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না… আমি কর্তৃপক্ষের কাছে মরিয়া ভাবে আবেদন যে করছি এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কিছু একটা করুন ।’
তরুনীর অ্যাকাউন্টের ভিডিও বার্তাটি মোটামুটি অনুবাদও ‘এক্স’-এর রেডিওজেনোয়া দ্বারা পোস্ট করা হয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ ভিউও সংগ্রহ করেছে ।
একই ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে পাঁচজন পাকিস্তানি পুরুষের দ্বারা অন্য একজন ইতালীয় মহিলাকে মারধর ও ধর্ষণের বিস্তারিত আরেকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
ইতালীয় মহিলারা ক্রমবর্ধমানভাবে পাকিস্তান ও মুসলিম দেশগুলির নাগরিকদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে । সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে ভিনদেশী মুসলিমদের দ্বারা মহিলাদের ধর্ষণ ও গনধর্ষণের অগনিত নজর রয়েছে । ইতালির রিমিক্স নিউজ রিপোর্ট করেছে, প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির প্রচারাভিযানের সময়, তিনি দিনের মাঝামাঝি সময়ে একজন অভিবাসী পুরুষের দ্বারা এক ইউক্রেনীয় শরণার্থী কিশোরীকে ধর্ষণ দেখানো একটি ভিডিওর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন । পরে মেলোনি টুইটারে লিখেছিলেন,’একজন আশ্রয়প্রার্থী দ্বারা পিয়াসেঞ্জায় দিনের বেলায় পরিচালিত ইউক্রেনীয় মহিলার বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার এই নৃশংস ঘটনা কেউ নীরবে সহ্য করবে না । এই মহিলার জন্য একটি আলিঙ্গন. আমাদের শহরগুলিতে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের জন্য আমি যা করতে পারি তা করব ।’
গত বছর মিলানে নববর্ষ উদযাপনের সময় কিশোর-কিশোরীদের একটি পাবলিক ট্রেনের মধ্যে ৩০ জন মুসলিম অভিবাসীর দলের দ্বারা ১৮ জন কিশোরী ধর্ষিতা বা গনধর্ষিতা হয় । রিপোর্ট অনুযায়ী,ইতালিতে, সমস্ত ধর্ষণের ৪০ শতাংশই পাকিস্তান ও আরব দেশ থেকে আগত মুসলিমদের দ্বারা হয়েছে । বর্তমানে ইতালিতে যাদের জনসংখ্যার হল ৮ শতাংশ । ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়ছে জর্জিয়া মেলোনি সরকারের পুলিশ ।।