এইদিন বিনোদন ডেস্ক,৩০ সেপ্টেম্বর : এশিয়া কাপ – ২০২৯ এ তিন বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান ৷ কিন্তু কোনো বারেই পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব । শুধু তাইই নয়, পাকিস্তানি মন্ত্রী মহসিন নকভির কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি । কারন পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের যোগ । এশিয়া কাপে নবমবারের মতো শিরোপা জেতায় প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এই ইভেন্টটিকে অপারেশন সিন্দুরের সাথে যুক্ত করেছেন। কিন্তু সূর্য কুমারের এই আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানি অভিনেতা সাফাত আলি (Shafaat Ali) এবং পাকিস্তানপন্থী ভারতীয় লেখিকা সাবা নাকভি(Saba Naqvi) । সাফাত আলি পাকিস্তানি নাগরিক হলেও সাবা নাকভি একজন ভারতীয় এবং তার কথার মধ্যে মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের প্রতি প্রেম উথলে ওঠে । যদিও এই দু’জনকেই যোগ্য জবাব দিয়েছেন ভারতীয়রা ।
সাফাত আলি এক্স-এ লিখেছেন,’ভারতীয় ক্রিকেট গড়ে তোলা হয়েছিল সেইসব অধিনায়কদের দ্বারা যারা খেলার চেতনাকে সম্মান করতেন… যারা এটিকে অনুপ্রাণিত করার, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, ঘৃণার ঊর্ধ্বে ওঠার শক্তি হিসেবে দেখেছিলেন। আর এখন সূর্য কুমার এসেছেন, যিনি সেই ঐতিহ্যকে রাজনৈতিক সার্কাসের জন্য সস্তা খাবারে পরিণত করছেন, ভারতের চির ক্ষুধার্ত ঘৃণা শিল্পকে খাওয়াচ্ছেন। ক্রিকেটের জন্য একটি লজ্জাজনক দিন, এবং ভারতের ক্রিকেটের জন্য আরও অন্ধকার দিন।’
তার এই পোস্ট ট্যাগ করে সম্ভব শর্মা লিখেছেন, ‘শহীদ আফ্রিদি তার টিভি ভেঙে ফেলেন কারণ তার মেয়ে ভুল করে একটি হিন্দু অনুষ্ঠান দেখে ফেলেন। শোয়েব আখতার গাজওয়া-ই-হিন্দের স্বপ্ন দেখেন। ইনাজমাম-উল-ফ্যাটফাক পুরো ভারতকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে চান। ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভারতীয়দের ভয় দেখানোর জন্য মাঠে নামাজ পড়া পছন্দ করতেন। তোমাদের “খেলার স্পিরিট” তোমাদের কাছেই রাখো, আর এটাকে তোমার পাছায় ঢুকিয়ে দাও ।’ তিনি আরও লিখেছেন,’ঠগদের সঙ্গে ঠগদের মতোই মোকাবেলা করা হবে।’
অন্যদিকে সূর্য কুমার যাদবের আচরণে “খুব লজ্জিত” বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের ছত্রছায়ায় থাকা পাকিস্তানিপ্রেমী ভারতীয় লেখিকা সাবা নাকভি(Saba Naqvi) । তিনি এক্স-এ লিখেছেন,’আমরা ক্রীড়া চেতনার ধারণার সাথে যা করেছি তাতে আমি খুবই লজ্জিত এবং হতাশ। রাজনৈতিক পয়েন্ট তৈরির জন্য ক্রীড়া তারকাদের ব্যবহার করা ক্রিকেট নয়। যেকোনো টুর্নামেন্টে যেকোনো জাতির দ্বারা ।’
সাবাকে উত্তর দিয়েছেন (Jay Anant Dehadrai) । তিনি লিখেছেন,’ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের দেশের জন্য গর্ব এবং দেশপ্রেমিক বীরত্ব প্রকাশ করলে আপনার কি সমস্যা? ম্যাডাম, আপনার কষ্ট সম্পূর্ণরূপে বোধগম্য। আপনি অতীতের সেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন যখন নিজের জাতি এবং বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সমালোচনা করা ফ্যাশনেবল, এমনকি রাজনৈতিকভাবেও সঠিক বলে বিবেচিত হত। সেই যুগ শেষ হয়ে গেছে। আজকের ভারতে, দেশপ্রেম মূলধারার, প্রান্তিক নয়। আমরা আমাদের দেশ, আমাদের জনগণ, তাদের অর্জন এবং সর্বোপরি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। এটাই নতুন স্বাভাবিক। এতে অভ্যস্ত হয়ে যান।’
সাবা নকভি(@_sabanaqvi) এক্স-এ নিজের পরিচয় দিয়ে লিখেছেন,বই, ইন গুড ফেইথ (২০১২) ক্যাপিটাল কনকোয়েস্ট (২০১৫)। শেডস অফ স্যাফ্রন: ফ্রম বাজপেয়ী টু মোদি (২০১৮) পলিটিক্স অফ জুগাদ (২০১৯)। স্যাফ্রন স্টর্ম (২০২৪)৷ উল্লেখ্য, সাবা নকভি হলেন সেই মহিলা যিনি বলেছিলেন যে পাকিস্তানের প্রতি ভারতের আচরণকে মানবিকতা দিয়ে দেখা উচিত, এবং ভারতের সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বাতিলের সমালোচনা করেন । যদিও তার মূল মনোযোগ ভারতের রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ের উপর, তবে তার কিছু মন্তব্য পাকিস্তানি জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে । তিনি ভারতে কথিত ইসলাম বিদ্বেষ মানসিকতার উত্থানের সমালোচনা করেন এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন, যা পাকিস্তান-প্রেমী হিসেবে দেখা হয়।।