এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৭ জুলাই : কার্গিল বিজয় দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারত তার সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করতে প্রস্তুত । প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বলেছে যে এটি ‘যুদ্ধ-উস্কানিমূলক বক্তব্য’ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ । বুধবার এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদের বিদেশ দপ্তর বলেছে যে পাকিস্তান যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে পুরোপুরি সক্ষম । আমরা ভারতকে চরম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছি কারণ এই প্রকার আগ্রাসী বক্তব্য আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে এবং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে । আরও বলা হয়েছে,এটি প্রথমবার নয় যে ভারতের নেতা এবং সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা কাশ্মীর এবং গিলগিট- বালতিস্তান সম্পর্কে “অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন” মন্তব্য করেছেন ।
বুধবার ২৪ তম কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে লাদাখের দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে ভাষণে রাজনাথ সিং বলেছিলেন,’দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতা রক্ষায় কোনও আপস করা হবে না । আমরা দেশের সম্মান এবং মর্যাদা বজায় রাখার জন্য যে কোনও সীমা পর্যন্ত যেতে পারি ৷ এর অর্থ যদি এলওসি অতিক্রম করতে হয় তবে আমরা তাও করতেও প্রস্তুত… যদি আমাদের উসকানি দেওয়া হয় তাহলে প্রয়োজনে আমরা এলওসি অতিক্রম করব ।’
তিনি বলেছিলেন,’কারগিল যুদ্ধ ভারতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমন এক সময়ে যখন ভারত আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিল । কিন্তু পাকিস্তান আমাদের পিঠে ছুরি মেরেছে । জাতির শত্রুদের নির্মূল করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হাত মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ।’ রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্যের পর পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে বিলম্ব করেনি পাকিস্তান ।
পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়েছে । কেন্দ্র সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তোলে পাকিস্তান । তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের সঙ্গে বানিজ্য বন্ধ করে দেয় । আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে পাকিস্তানকেই ।।