এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৯ এপ্রিল : পাকিস্থানের ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করা অনিবার্য হয়ে উঠেছে ভারতের । কারন ভারতের মধ্যে সিংহভাগ মুসলিমই পাকিস্তানপন্থী । মহম্মদের ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তো পাকিস্তানকে নিজেদের জন্মদাতা মনে করে । তাই ঘরে বাইরের এই হুমকিকে সমূলে তুলে ফেলতে হলে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করতেই হবে । ভারত প্রস্তুত । অন্যদিকে যুদ্ধের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান । সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে । পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন,৩-৪ দিনের মধ্যেই ভারত আক্রমণ করতে পারে । সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ, এখন এটি (সম্ভাব্য হামলা) অত্যাসন্ন হয়ে উঠেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ভারতের যেকোনো আগ্রাসী পদক্ষেপের জবাব দিতে পাকিস্তান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি ।
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গত পাঁচ দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহতের ঘটনার পর। এ হামলার দায় নিয়েছে পাকিস্তানি লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিআরএফ৷ এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। খাজা আসিফ বলেন, ভারত হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে কী কারণে শিগগিরই হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি খাজা আসিফ।
ফের পরমানু বোমা হামলার হুমকি দিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ‘আমাদের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি এলে’ তবেই কেবল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।পরে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ, দ্রুতই যুদ্ধ শুরু হতে পারে। আগামী এক, দুই, তিন বা চার দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ‘পরিষ্কার আশঙ্কা’ রয়েছে।নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই-তিন দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কিছু ঘটে, তবে আগামী দুই থেকে চার দিনের মধ্যেই ঘটবে…অন্যথায় তাৎক্ষণিক বিপদ কেটে যাবে।’ খাজা আসিফ আবারও বলেন, তাঁর বক্তব্য যেন এমনভাবে না ব্যাখ্যা করা হয় যে যুদ্ধ অবশ্যই দু-তিন দিনের মধ্যেই শুরু হবে। তিনি কেবল বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’।