এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু,২৬ নভেম্বর : আদালতের সিদ্ধান্তের অজুহাতে সিন্ধু প্রদেশের থারপারকার জেলার মিথি শহরের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হিংলাজ মাতা মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তান । পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) বরাবর আরও একটি হিন্দু মন্দির শারদা পীঠ মন্দিরও ধ্বংস করা হয়েছে। মন্দিরের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি স্থায়ী রায় সত্ত্বেও এই হিন্দু- বিরোধী পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । উল্লেখ্য, মন্দিরটি জাতিসংঘের শিক্ষাগত, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO) সাইট হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু তাসত্ত্বেও পাকিস্তান সরকার এলাকাটি সুরক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগই নেয়নি ।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ,ধর্মীয় স্থানটির পাশে একটি কফি শপ স্থাপিত হচ্ছে যেটি চলতি বছরের নভেম্বরে খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে । শারদা পীঠের বিরুদ্ধে পদক্ষেপটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্তরাধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি বৈশ্বিক সংরক্ষণ উদ্যোগের বিপরীত বলে মনে করা হচ্ছে । হিংলাজ মাতা হিংলাজ দেবী, হিঙ্গুলা দেবী এবং ননী মন্দির নামেও পরিচিত । এটি হিংলাজের একটি হিন্দু মন্দির, বেলুচিস্তানের লাসবেলা জেলার মাক্রান উপকূলে অবস্থিত একটি শহর এবং হিংগোল জাতীয় উদ্যানের মাঝখানে অবস্থিত ছিল । হিন্দুধর্মের শক্তিধর্মের ৫১ টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি । এটি পাকিস্তানের তিনটি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম , অন্য দুটি হল শিবহারকরয় এবং শারদা পীঠ ।
শারদা পীঠ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এবং ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, যা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজকীয় রাজ্যকে বিভক্ত করে। এটি হারমুখ পর্বতের উপত্যকার শারদা গ্রামে নীলম নদীর ধারে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৯৮১ মিটার উপরে অবস্থিত এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এটিকে ভগবান শিবের আবাস বলে বিশ্বাস করে ।
হিংলাজ যাত্রা পাকিস্তানের বৃহত্তম হিন্দু তীর্থযাত্রা । বসন্তকালে হিংলাজ যাত্রায় ২,৫০,০০০- এরও বেশি পূণ্যার্থী অংশ নেয় । এই পবিত্র ও হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরটি ভেঙে ফেলায় স্থানীয় সনাতনীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । মন্দিরের সামনে জড়ো হয়ে স্থানীয় হিন্দুরা ‘জয় মাতাদি’ এবং ‘হিন্দু ধর্ম জয়’ শ্লোগান দেয় ।।
তথ্যসূত্র : সৌজন্যে ওপি ইন্ডিয়া ।