এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৯ ডিসেম্বর : কাতার ও ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস শত বর্বরোচিত আচরণ করলেও পাকিস্তানসহ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী । সন্ত্রাসের আঁতুর ঘর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ প্রথম থেকেই হামাস সন্ত্রাসীদের সমর্থন জানিয়ে আসছে । এবারে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে দেশে নববর্ষ উদযাপন নিষিদ্ধ করে দিল পাকিস্তান সরকার । বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক টেলিভিশন ভাষণে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন । ভাষণে কাকার বলেন, ফিলিস্তিনের গুরুতর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে নববর্ষ উপলক্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন,গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় পাকিস্তানিরাসহ পুরো মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।ভবিষ্যতেও ইসরায়েলি রক্তপাত বন্ধ করতে পাকিস্তান তাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান ।
তিনি জানান, এরই মধ্যে দুই দফায় ফিলিস্তিনে ত্রাণ পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পরবর্তী দফা সহায়তা পাঠানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কাকার বলেন, ফিলিস্তিনিদেরকে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং গাজার আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহতে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এক বিবৃতিতে শহরটির কর্তৃপক্ষ জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় সংহতি জানাতে নববর্ষে কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের একাধিক এলাকায় হামলা চালিয়ে নির্বচারে নিরীহ মানুষদের হত্যা,ধর্ষণ ও পনবন্দি করে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস ।
তার পরেই হামাসকে নির্মুল করতে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ ঘোষণা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু । সন্ত্রাসীরা নিজেদের বাঁচাতে গাজার বাসিন্দাদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে । যেকারনে গাজার শিশু,মহিলাসহ গাজার হাজার হাজার মানুষের বেঘোরে প্রাণ চলে যাচ্ছে । হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছে এযাবৎ প্রায় ২২ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে গাজায় । যদিও হামাসের পরিসংখ্যান আদপে কতটা সত্য তা নিয়ে সংশয় আছে ।।