এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝাড়খণ্ড,২৩ এপ্রিল : কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছেন তিন ডজনের অধিক মানুষ । হতাহতের সকলেই হিন্দু পর্যটক । তাদের ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা৷ এই ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের পাশাপাশি গোটা দেশ শোকে মুহ্যমান । এই শোকের আবহের মাঝে পাকিস্তান ও কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিল ঝাড়খণ্ডের এক মৌলবি মহম্মদ নওশাদ । সেই ওই পোস্টে লিখেছে, ‘ধন্যবাদ পাকিস্তান, ধন্যবাদ লস্কর-ই-তৈয়বা, আল্লাহ তোমাদের সর্বদা আশীর্বাদ করুন…আমিন আমিন । আরও খুশি হতাম যদি আরএসএস, বজরং দল ও সংবাদমাধ্যমকে যদি নিশানা করা হত৷’
এদিকে এই পোস্টের পর ঝাড়খণ্ড পুলিশকে ট্যাগ করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানান নেটিজেনরা । এরপরই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ নেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশ। বুধবার ঝাড়খণ্ডের বোকারোর মখদুমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই জিহাদি মৌলবিকে । জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সি মহম্মদ নৌশাদ বিহারের এক মাদ্রাসা থেকে কোরানের উপরে ডিগ্রি অর্জন করেছে । বর্তমানে সে বাবার সঙ্গে বোকারোতে থাকে । অভিযুক্তের ভাই কর্মসূত্রে দুবাইয়ের বাসিন্দা। সেখানকার এক সিমকার্ড ব্যবহার করে সোশাল মিডিয়া চালাচ্ছিল মহম্মদ নৌশাদ । পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর রাতে ওই জঙ্গিদের সমর্থন জানিয়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সে ।
তবে জিহাদি মহম্মদ নৌশাদ হিন্দুদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই ঘৃণা ছড়িয়ে আসছে । হিন্দু নারী ও দেব-দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তার । কিন্তু হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ এযাবৎ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি । মহম্মদ নওশাদ (MNQUASMIMD) পহেলগাম হামলায় তার ঘৃণ্য পোস্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের পরে ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছে ।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা সংগঠন টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা গেছদ, এই হামলার সঙ্গে ৪ জন সন্ত্রাসবাদী যুক্ত ছিল । তাদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তানি ও ২ জন কাশ্মীরি মুসলিম যুবক ।।