এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্রয়াগরাজ,২০ জানুয়ারী : সনাতন ধর্ম রক্ষায় পিছিয়ে নেই নারী শক্তি। জুনা আখড়ায় ১০০ জনেরও বেশি মহিলাকে নাগা সন্ন্যাসিনী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনজন বিদেশি নারীও রয়েছেন। জুনা আখড়ার মহিলা সাধু দিব্যা গিরি বলেছেন যে রবিবার তার আখড়ায় ১০০ জনেরও বেশি মহিলাকে নাগা সন্ন্যাসিনী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে । তিনি বলেন, এই দীক্ষার নিবন্ধন চলছে এবং প্রথম পর্যায়ে ১০২ জন মহিলাকে নাগা রীতি অনুযায়ী দীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
তাদের গুরুর প্রতি তাদের দীর্ঘ ১২ বছরের সেবা এবং উৎসর্গ দেখে এই মহিলাদের অবধূত করা হয়েছে বলে তিনি জানান । একদল সদ্য মহিলা অবধুত গঙ্গার তীরে মাথা ন্যাড়া করেন । গঙ্গায় স্নান করার পর তাদেরকে কমন্ডলু, গঙ্গাজল ও নিজেদের পিন্ডদান করা হয়। তিনি জানান, আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অবধেশানন্দ গিরি চূড়ান্ত দীক্ষা দেবেন।
বিদেশী মহিলারাও মহা কুম্ভে নাগা সন্ন্যাসী দীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং এখন তারা জুনা আখড়ার সদস্যা । তিনজন বিদেশী নারীকে নাগা সন্ন্যাসিনী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে । তাদের মধ্যে ইতালির বঙ্কিয়া মারিয়ামের নাম হয়েছে শিবানী ভারতী। ফ্রান্সের ভ্যাকেন মারির নাম হয়েছে কামাখ্যা গিরি এবং নেপালের মোক্ষিতা রাণীর নাম রাখা হয়েছে মোক্ষিতা গিরি।
মহিলা নাগা সন্ন্যাসিনী হতে, একটি খুব কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাদের পার্থিব আবেগ ত্যাগ করে ভিন্ন জীবনযাপন করার শিক্ষা দেওয়া হয় । নারী নাগা সাধুদের জগৎ বেশ রহস্যময়। সবাই তাদের সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু তারা সাধারণ মানুষের থেকে দূরে তপস্বীর জীবনযাপন করেন । মহাকুম্ভে যেমন নাগা সাধুরা কঠোর তপস্যা ও ধ্যান করেন, তেমনি নারী নাগা সন্ন্যাসীদেরও অনেক কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। অত্যন্ত কঠোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই নারী সাধুদের নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার সৌভাগ্য প্রাপ্ত হন ।।