এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২১ মার্চ : ক্রিকেটের বিশ্বায়নে আইপিএল বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন করেন লিগটির চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। আইপিএল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ধারণা নিয়ে উপকৃত হয়েছে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় ছোট দেশগুলোতেও ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন আইপিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল।
২০০৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে বেড়েই চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের(আইপিএল) ব্র্যান্ড ভ্যালু। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এটি। ২০২৩ সালে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য শুধু সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি করেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ৬.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ থেকেই বোঝা যায় অল্প সময়ের মধ্যে কতোটা বেড়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জনপ্রিয়তা। শুধু জনপ্রিয়তা নয়, আইপিএল হয়ে উঠেছে তরুণ ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রমাণের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। প্রতি বছর বহু ক্রিকেটার উঠে আসে এই লিগ থেকে। আর ধুম-ধারাক্কা ক্রিকেটের এই আসরটি টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের খেলার ধরনও বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন আইপিএলের চেয়ারম্যান।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় এবং বোর্ডের ওপর আইপিএলের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেছেন, ‘আইপিএলের জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে। প্রতি বছর আপনি আইপিএল থেকে দারুণ কিছু প্রতিভা খুঁজে পাবেন। এ মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এটি বিশ্ব ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছে, যা ইতিবাচক। আপনি দেখেন টেস্ট ম্যাচগুলো এখন আরও বেশি ফলাফল দিচ্ছে। ওয়ানডেতেও চার ছয়ের সংখ্যা বেড়েছে।’
আইপিএলের আগে আইসিএল শুরু হলেও ধুমালের দাবি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ধারণা নিয়ে উপকৃত হয়েছে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো। যা তাদের আর্থিকভাবেও লাভবান করেছে। এছাড়া আইপিএল ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছেও বলে মনে করেন তিনি। থাইল্যান্ড, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো বড় ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন আইপিএল চেয়ারম্যান।
ধুমাল বলেন, ‘আইপিএল ক্রিকেটকে সামগ্রিকভাবে সাহায্য করছে। শুধু তাই নয়, এটি বিশ্বব্যাপী সব ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য করছে। কারণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে আয় কমে যাচ্ছিল। কিন্তু কোনো না কোনোভাবে তারা লিগ ক্রিকেট দিয়ে আয়ের উৎস খুঁজে পেয়েছে। সেই অর্থ দিয়ে তাদের ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করছে যা অবশ্যই ইতিবাচক। ক্রিকেটে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে ওয়ানডে ও টেস্টের চেয়ে টি-টোয়েন্টি সেরা ফরম্যাট। আমরা দেখেছি থাইল্যান্ডে কিভাবে নারী ক্রিকেটের উন্নতি হয়েছে। ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো ছোট দেশগুলোতেও ক্রিকেটের প্রসার হয়েছে।’
শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএলের নতুন মৌসুম। লোকসভা নির্বাচনের কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আইপিএল স্থানান্তরিত হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।।