এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ জুলাই : ‘গনতন্ত্র রক্ষার দাবিতে’ বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনের ফাঁকা মাঠে তিন দিন ধরে ‘ধর্না ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি’ নিয়েছিল রামপুরহাট শহর মন্ডল বিজেপির নেতৃত্ব । জুলাইয়ের ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে চলা ওই কর্মসূচির শেষ দিনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল ৷ কিন্তু রামপুরহাট থানার পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি বাতিল করে দিতে হয় বিজেপিকে । এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে পুলিশ ও প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু ।
তিনি লিখেছেন,’সুতরাং এই কাহিনী চলতেই রয়েছে । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান এমন রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিদের গণতান্ত্রিক অধিকার অস্বীকার করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গে আদর্শ হয়ে উঠেছে। আজ আমার রামপুরহাট এসডিও অফিসের বাইরে একটি ধর্নায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এটি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন ৩ দিন আগে জমা দেওয়া হয়েছিল। শেষ মুহুর্তে পুলিশ বৈধ কারণ না দেখিয়ে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। তাই একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে, আমি আজ রামপুরহাটে যাব না কারণ অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে হয়েছিল। এটি প্রথমবার নয় এবং শেষ বারও হবে না। আমি রামপুরহাটে অনুষ্ঠানটি করার অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে যাব এবং ধর্না সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশনা অনুসারে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রামপুরহাট পরিদর্শন করব।’
শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া নথি অনুযায়ী, গত ২২ জুলাই রামপুরহাট এসিডিও-এর কাছে তিন দিনের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন রামপুরহাট শহর বিজেপির সভাপতি সুরজিত সরকার । শহরের পাঁচমাথা মোড়ে রাস্তার পাশে ফাঁকা জমিতে ধর্নামঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চালানোর কথা বলেছিলেন তিনি । কিন্তু ওই দিনেই রামপুরহাট থানার আইসির স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়,’অনুগ্রহ করে আপনার প্রান্ত থেকে উৎপন্ন উপরের মেমো পড়ুন । উপরের প্রেক্ষাপটে আপনাকে এতদ্বারা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতি ছাড়া ২৩.০৭.২০২৪ থেকে ২৫.০৭.২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।আপনি যথাযথ অনুমতি নিয়ে এই জাতীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন এবং আমাদেরকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারেন।’
প্রসঙ্গত,চার দফা দাবিতে ধর্না ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি । বিজেপির ছাপানো দাবি সম্বলিত পোস্টারে লেখা হয়েছে : বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামে গ্রামে পানীয় জল বন্ধ করার এবং সাধারণ মানুষদের সরকারি ন্যায্য পরিষেবাগুলি থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ । ফুটপাথ করসায়ীদের পূনঃর্বাসন । পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়া এবং তাদের গুরুত্ব না দেওয়ার প্রতিবাদ । রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রতি তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও বিজেপি কর্মীদের প্রতি নির্যাতনের প্রতিবাদ ।।