এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ এপ্রিল : আজ স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিঘায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করাকে মেনে নিতে পারছেন না রাজ্য বিজেপির নেতারা । আস্তে আস্তে তারা এবার মুখ খুলছেন । ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি লিখছেন,’একজন ত্যাগী থেকে কীভাবে ভোগী হয়ে উঠতে হয়, তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপবাবু। বাবুল সুপ্রিয় থেকে মুকুল রায়, এদের তাড়িয়ে আজ আপনি নিজেই তাদের পথ অনুসরণ করেছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে এমন ‘আদর্শবান পুরুষ’ হওয়া যায়, তা চিন্তার বিষয়! বাংলার বিজেপির লজ্জা আপনি।’
শুধু সৌমিত্রই নয়, আরও এক বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় একই ভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে শিখেছি যে স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মাননীয় দিলীপ ঘোষের একাধিক কর্মকান্ডকে সমর্থন করলেও আজকের কাজকে করা যায় না। তিনি দীঘার জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার দর্শন করতে যেতেই পারতেন। এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা করতে গেলে কোন মন্তব্য ছিল না। মুর্শিদাবাদে হিন্দু হত্যার নায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে হাসিখুশি কথা বলাটাকে ভালো ভাবে নিতে পারলাম না।’
তিনি আরও লিখেছেন,’সরকার আমার আপনার করের টাকা খরচা করে কালচারাল সেন্টার বানিয়েছে। সেটা দেখতে যাওয়ার মধ্যে আপত্তির কিছু ছিল না। যার পাশে বসে গল্প করছেন সেটা নিয়ে আপত্তি আছে দিলীপ দা। আপনার অনেক মন্তব্যের পরেও আপনাকে আমার মত সাধারন কার্যকর্তারা সমর্থন করেছেন। সেই সমর্থন মনে হয় হারালেন। আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মত সাধারন কর্মীদের মাথা ব্যাথা কোনদিন ছিল না । দলের জন্য আপনি অনেক কিছু করেছেন ঠিক তেমনি দলও আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। ভবিষ্যতের যদি আপনি মমতার সহযোদ্ধা হিসেবে তার পাশে দাঁড়ান তাহলেও আর অবাক হব না আজকের পর।’
সবশেষে তরুনজ্যোতি লিখেছেন,’এত কথা লেখার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কথাগুলো দলের একজন সাধারণ সমর্থক হিসাবেই বললাম। মমতার হাতে আমাদের কর্মীদের রক্ত লেগে আছে। মমতার জন্য মুর্শিদাবাদের হিন্দুরা ঘর ছাড়া এবং মমতার হাতে হিন্দু হত্যার রক্ত লেগে আছে। যে এই রকম এক মহিলার পাশে বসে হাসি করে কথা বলে সে আমার নেতা নয়। দয়া করে প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ তুলে আনবেন না । প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতেই পারে। আজকের পর থেকে আমি অন্তত আপনাকে আর আমার নেতা মানতে পারবো না। ভালো থাকবেন দিলীপ ঘোষ বিজেপিদা।’।