গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা হিন্দু নরসংহারের ঘটনার পর পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নির্মুল করতে “অপারেশন সিঁদূর” শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী । সেই অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা । পাশাপাশি হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের ১১ টি বিমানবন্দরেও । ভারতীয় নেভি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের করাচির সমুদ্র বন্দর । যেকারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে । পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে চীন প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ না করলেও ড্রাগন দেশও ক্ষতির মুখে পড়ছে । কিন্তু কিভাবে ? আসলে যুদ্ধবিমান, র্যাডার সিস্টেম ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মূলত চীনের কাছ থেকেই কিনেছে পাকিস্তান । কিন্তু ভারতের প্রযুক্তির সামনে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে চীনের প্রযুক্তি । যেকারণে বৈশ্বিক অস্ত্রের বাজারে চীনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির দাম হু হু করে কমছে ।
সাংবাদিক প্রসূন মৈত্র এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,’সিপিএমের অনুপ্রেরণায় হাতের লড়াইকে ভাতের লড়াইয়ে পরিণত করলেন নরেন্দ্র মোদী। চিনের স্টক মার্কেটে এরোস্পেস এবং ডিফেন্স সেক্টরের ইনডেক্সও বুধবার কমেছে ১.৩ শতাংশ। এর পাশাপাশি চিনের এরোস্পেস টাইমস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ব্রাইট লেজ়ার টেকনোলজি, নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ় গ্রুপ রেড অ্যারো, শিয়ান ট্রায়াঙ্গেল ডিফেন্স, চিন স্পেট স্যাট, বেজিং বেই এবং অ্যাভিক এয়ারক্রাফ্টের শেয়ার দর পড়েছে ১ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। চিনের ডিফেন্স সেক্টরের ইনডেক্সে ২৯টি সংস্থার স্টক রয়েছে। এর মধ্যে ২টি বাদে সমস্ত স্টকের গ্রাফ রেড রয়েছে বুধবার। মঙ্গলবারও এই সেক্টরাল ইনডেক্স কমেছিল প্রায় ২.৯ শতাংশ।
অ্যাভিক এয়ারক্র্যাফ্টের শেয়ার দর গত ২টি ট্রেডিং সেশনে কমেছে ৯ শতাংশেরই বেশি। এই সংস্থাই তৈরি করেছিল জে-১০ যুদ্ধবিমান। যা পাকিস্তান ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছিলেন, পাক ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ইশাক দার। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখেছে ভারতের সামনে পাকিস্তানের মিসাইল এবং ড্রোন কী ভাবে খড়কুটোর মতো পড়েছে। ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি লিখেছেন,’ভারতের বিভিন্ন রকমের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কার্যকারিতা এবং নির্ভরযোগ্যতা গোটা বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে। ভারতে তৈরি ডিফেন্স সিস্টেম পাক এবং চিনা অস্ত্রের বিরুদ্ধে যে ভাবে কাজ করেছে, তাতে দীর্ঘমেয়াদে ভারতে তৈরি অস্ত্রের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। চিনা অস্ত্রের চাহিদা কমতে পারে। এই আশঙ্কাতেই পতন। সিপিএমের এই গদ্দারি চীন কোনদিনও ক্ষমা করতে পারবেনা।’
প্রসঙ্গত,স্টক মার্কেটে কারসাজি করে চীন দাবি করেছিল যে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের রাফায়েল জেটগুলিকে বিধ্বস্ত করার কারনে তাদের PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র এবং J-10 জেট নির্মাতার স্টক বেড়েছে । কিন্তু বাস্তবতা তার ঠিক উলটো । চীনের AVIC চেংডু বিমান প্রস্তুতকারকের শেয়ারে ধ্বংস নেমেছে,৯.৩১% কমে ৮৬.৯৩ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে । ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স-এর শেয়ার ৬.৩৪ % কমে ৩৭.৩৫ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে । এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা জায়ান্টরা অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি লাভ করেছে । BEL -এর শেয়ার ৪.৫% বেড়ে ৩৩৭.৩০ টাকা, 337 টাকা, HAL ৪% বেড়ে ৪,৬১৭ টাকা এবং ভারত ডায়নামিক্স ১০% বেড়ে ১,৭২০.৭০ টাকা হয়েছে । পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে আকাশ, ব্রহ্মোস এবং আকাশতীরের আধিপত্য স্পষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে সমরাস্ত্রের মার্কেটে ৷ ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা চীনের ফাঁপা আওয়াজকে চূর্ণবিচূর্ণ করছে, চীনের মিথ্যা ভেঙে পড়ছে !
খবর আসছে….চীনা প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশযানের মজুদ কমে যাচ্ছে…পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত জয় এবং চীনা অস্ত্রের ব্যর্থতার পর চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। বিপাকে পড়েছে আরও এক ইসলামি রাষ্ট্র বাংলাদেশ । বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদীরাও চীনের সমরাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল । আর সেই ভরসায় তারা ভারতকে রীতিমতো চোখ রাঙাতে শুরু করেছিল । যদিও পাকিস্তানের বেহাল দশা দেখে এখন তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ।।

