প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ সেপ্টেম্বর :কেন্দ্রের সরকার রেশন দেয় অর্থের বিনিময়ে । কিন্তু দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে রেশন দেয় বলে শনিবার বর্ধমানে এসে দাবি করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। একই সঙ্গে তিনি জানান ,’কেন্দ্রের সরকারের তরফে এখন যে রেশন দেওয়া হচ্ছে তা আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্যের রেশনিং ব্যবস্থা আগামীদিনেও একই রকম ভাবে বহাল থাকবে ।’
দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর অগ্রগতি, রেশনিং ব্যবস্থা এবং রাইসমিল সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে এদিন বর্ধমানে জেলাশাসকের দপ্তরে আলোচনায় বসেন খাদ্যমন্ত্রী । বৈঠকে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা,জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ,সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলা প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে যারা অযথা রাজনীতি করতে চাইছে করুক।কিন্তু তাতে কিছু লাভ হবে না। কেন্দ্রের রেশনিং ব্যবস্থা এবং রাজ্যের রেশনিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পৃথক। রাজ্যের বেশি সংখ্যক মানুষকে কিভাবে খাদ্য সুরক্ষা দেওয়া যায় সে বিষয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট যত্নবান বলে এদিন জানান খাদ্যমন্ত্রী।তিনি এও বলেন ,এই রাজ্যে রেশন কার্ডের সংখ্যা ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ ।তার মধ্যে ৬ কোটি ১ লক্ষ মানুষ অর্থের বিনিনয়ে ন্যাশানাল ফুড সিকিউরিটি এ্যাক্টের (এনএফএসএ) কার্ডে রেশন পায় । বাকি ৪ কোটি ৩২ লক্ষ মানুষকে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজস্ব রেশন দেয়।কেন্দ্র খাদ্য সুরক্ষার কার্ড থাকা মানুষদের আগামী নভেম্বর অবধি রেশন দেবে। কিন্তু এই রাজ্যের সরকারের সকলকে বিনামূল্যেই রেশন দেওয়া বহাল রাখবে ।খাদ্যামন্ত্রী দাবি করেন ,গোটা ভারতে আর কোথাও গ্রাহকরা বিনামূল্যে রেশন পান না ।এই দৃষ্টান্ত রাজ্য তৈরি করেছে।
দুয়ারে রেশন প্রকল্প বাস্তবায়িত করা নিয়ে এদিন জেলার রেশন ডিলার দের বক্তব্যও শোনেন খাদ্যমন্ত্রী। রেশন ডিলারদের বক্তব্য
বৈঠকে লিপিবদ্ধ করা হয়। দুয়ারে সরকার শিবিরে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা হচ্ছে। যাদের কার্ড নেই তারা শিবিরে আবেদন করতে পারবেন বলে মন্ত্রী জানান ।জেলার বেশ কয়েকটি রাইসমিলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন বিষয়ে খদ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব রাইসমিলের বর্জ্যে ধানের জমির ক্ষতি হচ্ছে কেবল সেইসব রাইস মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাইসমিল চালানোর জন্য
কিছু শর্ত পালনের অঙ্গিকার করেই মিল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স পেয়েছেন।ওই জল শোধনের ব্যবস্থা থাকার কথা বলেই তারা লাইসেন্স পেয়েছেন বলে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ।।