এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,২৪ জুন : তৃণমূল কর্মীকে খুনে ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকেই ফাঁসির নির্দেশ দিল হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা আদালত। পাশাপাশি তৃণমূল-সিপিএম-ফরোয়ার্ড ব্লক মিলে ১৮ জন কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ নইমুদ্দীন । ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম এলাকারই তৃণমূল কর্মী বলদেব পাল । বাকি ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে ১১জন তৃণমূল কর্মী, ৬ জন সিপিএম এবং ১ জন ফরোয়ার্ড ব্লকের কর্মী । সোমবার দোষী সব্যস্ত করে আজ মঙ্গলবার এই সাজা ঘোষণা করেন হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা অ্যাডিশনাল জেলা সেশন বিচারক কিষেন কুমার আগরওয়াল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বরের ৷ ওইদিন শ্যাওড়া ইউনিয়ন স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র গোঘাটের আমডোবা গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী শেখ নইম উদ্দিনকে গুলি করে খুন করা হয় । ঘটনার পর মৃত শেখ নইমুদ্দীনের স্ত্রী তাহেরা বেগম গোঘাট থানায় ৩০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। মামলা চলাকালীন অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন মারা যায় । বাকি ২৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। তার মধ্যে সাতজনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত । তাদের মধ্যে রয়েছেন গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, গোঘাটের সিপিএম নেতা দেবু চট্টোপাধ্যায় ও ভাস্কর রায় । বিশ্বনাথবাবু সেইসময় ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন। বাকি ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা সাহেব পাল ও প্রাক্তন প্রধান তাপস খাঁ ।
বিজেপির বিধায়ক জানান,সেদিন মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী । তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল । অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে । অন্যদিকে সিপিএম জানিয়েছে যে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন ।।

