এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৪ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে বাম ও গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরাল শাসকদল । রবিবার বলগোনা ও নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের একাধিক গ্রাম থেকে সিপিএম ও বিজেপির এক হাজার কর্মী ও সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে বলে দলীয় তরফ থেকে জানানো হয়েছে । ভাতার বাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী । তবে এই যোগদানকে বিশেষ আমল দেয়নি স্থানীয় সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব । দুই বিরোধী দলের দাবি এই যোগদান ভুয়ো ।
প্রসঙ্গত,বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী । ঘরে ফেরানোর পাশাপাশি চলেছে যোগদান কর্মসূচি । তবে এতদিন সেই যোগদান ছিল শুধুমাত্র বিজেপি থেকে । তাও নামেমাত্র সংখ্যায় । সেই হিসাবে এদিনের যোগদানের সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি । স্বভাবতই উৎফুল্ল তৃণমূল শিবির । এদিনের যোগদানের অনুষ্ঠানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা, তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু কোঁয়ার প্রমূখ ।
যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শান্তনু কোঁয়ার বলেন, ‘ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন দলের তরফ থেকে আবেদন নিবেদন আসছিল । স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাঁদের সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহন করেছি । যাঁরা দলে আসছেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি ও আদর্শ মেনে চলবেন । আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নে তাঁদের কাজে লাগানো হবে ।’
অন্যদিকে এই যোগদানকে গুরত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব । বিধানসভা নির্বাচনে ভাতারের সিপিএম প্রার্থী নজরুল হকের কথায়, ‘ওসব ফালতু কথা । তৃনমুল ‘কুমীরের বাচ্ছা দেখানো’ করছে ৷ নিজেদের লোকজনদের এনে যোগদানের নাটক করছে তৃণমূল ।’ পাশাপাশি ভাতার ব্লকে বিজেপির ৩৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি রাজকুমার হাজরা বলেন, ‘যারা আরএসএস ও বিজেপির নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী তাঁরা কখনই দলত্যাগ করবেন না । আমাদের দল ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যোগদান করেননি । ওসব মিথ্যা কথা ।’।