এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৪ মার্চ : একসাথে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করার বিষয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি দীর্ঘ ৫ মাস বাদ আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে । গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই কমিটি গঠন করা হয় এবং এর চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ । কমিটিতে রাজনৈতিক দল, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,একযোগে নির্বাচনের প্রস্তাবে ১৫ তম আর্থিক কমিশনের অর্থনৈতিক কার্যকারিতা সভাপতি এন কে সিং এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রাচী মিশ্রের একটি নথিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিবেদনে একযোগে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান এবং প্রশাসনিক সম্পদের বিবরণও থাকবে।
কোবিন্দ ইতিমধ্যেই একযোগে সংসদীয় এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন করার পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন এবং জাতীয় স্বার্থে এই ধারণাটিকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন । গত বছরের নভেম্বরে,প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা যে কোনও দল “এক জাতি, এক নির্বাচন” থেকে উপকৃত হবে এবং নির্বাচনী ব্যয়ে সঞ্চিত অর্থ উন্নয়নে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এক দেশ এক নির্বাচন বিজেপির ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে নির্বাচনের ইশতিহারে ছিল । তবে এক দেশ এক নির্বাচন করতে সংবিধানের অন্তত পাঁচটি অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্বের আইনের পরিবর্তন করতে হবে । আইন গুলিকে সর্বসম্মতিতে সংশোধনের জন্য বিজেপি সরকার ২০২০ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল । বিজেপির দাবি যে আদর্শ আচরণবিধির বারবার চাপিয়ে দুর্নীতিকে আদপে উৎসাহিত করা হয় এবং এতে প্রশাসনের কাজ কর্মের অনেক ক্ষতিও হয় । বিজেপি ছাড়াও জনতা দল ইউনাইটেড, শিবসেনা, রিপাবলিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া আথাওয়ালে এক দেশ এক নির্বাচনকে সমর্থন করেছিল । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস,বামফ্রন্ট,কংগ্রেসসহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি এক দেশ এক নির্বাচনের বিরোধী । কমিটিতে গোলাম নবী আজাদ ও অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও রাখা হয়েছিল । কিন্তু অধীর রঞ্জন কমিটিতে থাকতে অস্বীকার করেন ।।