এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জুলাই : মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাস হত্যাকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি । ধৃতের নাম রফিক সেখ (৪৫) । তার বাড়ি মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামে । বুধবার রাতে আউশগ্রামের ফতেপুর গ্রাম থেকে ওই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয় । তবে তাকে ধরতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় সিআইডি ও গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশকে । সুত্রের খবর, খুনের ঘটনার অব্যবহিত পড়েই ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল শেখ নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতি রফিক সেখ । গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সিআইডির দল সেখানে হানা দিলে আত্মীয়ের বাড়ির পাশের তিনটি বাড়ির ছাদ টপকে সে পালানোর চেষ্টা করে । কিন্তু রফিকের মতলব আন্দাজ করে সিআইডি ও গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী আগে থেকেই চারিদিক ঘিরে রেখেছিল । তা সত্ত্বেও একটা সময় সে সকলের নজর এড়িয়ে লুকিয়ে পড়তে সক্ষমও হয় । কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় রফিক । আত্মীয়ের বাড়ির অনতিদূরে একটি পুকুরের কচুরিপানার আড়াল থেকে মূর্তিমানকে পাকড়াও করে পুলিশ ও সিআইডি । মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এনিয়ে গ্রেফতার হল মোট ৩ জন ।
গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে খুন হন মঙ্গলকোট ব্লকের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস । তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতিরা । এই ঘটনায় মৃতের ছেলে সুনন্দ দাস মঙ্গলকোট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন । তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । এরপর ঘটনার দু’দিনের মাথায় ১৪ জুলাই সাবুল সেখ ও সামু সেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পরে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে ।
জানা গেছে,এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে ধৃত দু’জনকে জেরা করেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশীদেরও । খতিয়ে দেখা হয় একাধিক সন্দেহজনক ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট । তারপর সন্ধান মেলে কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা রফিক সেখের । বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রফিক শেখ একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতি । তার বিরুদ্ধে এর আগেও গুরুতর অভিযোগে মামলা হয়েছে । বুধবার রাতে গ্রেফতারের পর নিরাপত্তার স্বার্থে রফিককে প্রথমে বর্ধমান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিআইডি । বিচারক ৭ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেন । সিআইডির দাবি, ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল রফিক শেখ । এই খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি ।।