দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),৩০ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার বামুণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা চিন্তা দাস (৪৫) নামে এক বিধবা মহিলাকে খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত ব্যক্তি কেতুগ্রামের শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা অজিত মণ্ডল । আজ শুক্রবার ভোরে কেতুগ্রামের কল্যানপুর ঘাট থেকে গ্রেফতারের পর তাঁকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে,নিহত মহিলার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ধৃত ব্যক্তি । ওই টাকা ফেরত না দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল । তার জেরেই এই খুন কিনা তা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।
জানা গেছে,অজিত মণ্ডলের বাড়িতে জনমজুরির কাজ করতেন নিহত চিন্তা দাস । গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে চিন্তাদেবী নিজের একটি গরুও নিয়ে মাঠে চড়াতে গিয়েছিলেন । মাঠে গরুটি পাওয়া গেলেও নিখোঁজ হয়ে যান চিন্তাদেবী । পরের দিন শান্তিনগর গ্রামের পাশে জমি থেকে গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় চিন্তাদেবীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায় । পরে কেতুগ্রাম থানায় একটি খুনের মামলা রজু করেন মৃতার ছেলে দেবজ্যোতি দাস ।
পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানান,অজিত মণ্ডলের বাড়িতে জনমজুরির কাজ করতেন তাঁর মা । অজিত ও নিত্য মণ্ডল নামে তার এক সঙ্গী তাঁদের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করত । মৃত্যুর কিছুদিন আগে একটি গোষ্ঠী থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁর মা । মাস তিনেক আগে সেই টাকা ধার নিয়েছিল অজিত । কিন্তু গোষ্ঠীর কিস্তির পরিশোধ করছিল না সে । সেই কারনে তাঁর মা টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন । এনিয়ে মায়ের সঙ্গে অজিত মণ্ডলের অশান্তি চলছিল । ঘটনার দিন অজিত মণ্ডলের ফোন পেয়েই তাঁর মা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর সন্দেহ অজিত ও নিত্য মণ্ডল মিলেই তাঁর মাকে খুন করেছে ।
ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল দুই অভিযুক্ত । শেষে এদিন অজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক জানান, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । অপর অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে ।।