প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ জুন : কেউ গবাদি পশু নিয়ে মাঠে চরাতে বেরিয়ে ছিলেন । আবার কেউ জমিতে করছিলেন চাষের কাজ। এমন সময়ে প্রবল বজ্রপাত প্রাণ হারালেন তিন ব্যক্তি। জখম হলেন আরো একজন। রবিবার মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ও নাদনঘাট থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃতরা হলেন হরগোবিন্দ বিশ্বাস (৬৪),হারু দাস (৪৮) ও মঙ্গলদীপ সাঁতরা (২৩)।মৃত প্রথম দু’জনের মধ্যে একজন মন্তেশ্বরের মড়াইপিড়ি গ্রামের বাসিন্দা। অপর জনের বাড়ি মন্তেশ্বরের খান্দরা গ্রামে।বাকি আর এক জনের বাড়ি নাদনঘাটের বড় কড়াইল গ্রামে। আহত নিমাই রায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কালনা মহকুমা হাসপাতালে । এদিনই কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে তিন মৃতর দেহের ময়নাতদন্ত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
আষাঢ় মাস পড়তেই বঙ্গে দাপট বেড়েছে বৃষ্টি পাতের। তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বজ্রপাত। সে সবের মধ্যেই এদিন সকালে গবাদি পশু নিয়ে মাঠে যান মন্তেশ্বরের মড়াইপিড়ি এলাকার বৃদ্ধ হরগোবিন্দ বিশ্বাস।একই সময়ে বীজতলা দেখতে জমিতে যান মন্তেশ্বরের খান্দরা গ্রামের প্রৌঢ় হারু দাস। পরিবার সদস্যদের কথা অনুযায়ী ,এমন সময়ে প্রবল বজ্রপাত তাদের উপর আছড়ে পড়লে তারা মাটিত লুটিয়ে পড়েন। দু“জনকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ।কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বজ্রপাত এদিন নাদনঘাট থানা এলাকাতেূ দাপট দেখায় ।জানাগিয়েছে,দননঘাটের বগপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়কড়াইল এলাকার বাসিন্দা নিমাই রায় তাঁর নাতজামাই মঙ্গলদীপ সাঁতরাকে নিয়ে জমির বীজতলার কাজে গিয়েছিলেন।সেই সময় বৃষ্টিপাতের মধ্যেই বজ্রপাত হয়।তাতে শ্বশুর ও জামাই দু’জনেই জখম হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মঙ্গলদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চোখের সামনে নাতজামাইয়কে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে শোকাতুর হয়ে পড়েছেন শ্বশুর নিমাই রায়। কালনা মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, “ বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারগুলি সরকারি সাহায্য যাতে পায় তা দেখা হচ্ছে।।