প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ নভেম্বর : বাচ্চা থেকে বুড়ো কেউ রেহাই পেল না । পথ কুকুরের কামড়ে জখম হলেন ৩০ জন।এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুধবার ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পুটশুড়ি এলাকার বাসিন্দা মহলে । কুকুরের ভয়ে সবাই ঘর থেকে বাইরে বেরুন বন্ধ করে দিয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।কুকুরটিকে নিধন করা হয়েছে এই খবর পাওয়ার পর বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরুনোর শাহস পান । এরপর কুকুরের কামড়ে জখম শিশু , ছাত্র ছাত্রী ও বয়স্ক মানুষজন সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ।জখমদের মধ্যে তিন জনের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁদের স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর। যদিও কুকুর আতঙ্ক এখনও পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে এলাকা শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের ।
পুটশুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাজিনা মল্লিক ও
সুমিত্রা দাস বলেন,পুটশুড়ি বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করতো কুকুর টি । এদিন সাকালে
পুটশুড়ি বাজার এলাকার রাস্তা দিয়ে যাঁরাই যাচ্ছিলেন তাঁদের উপরে উন্মত্ত ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরটি কামড়ে দেওয়া শুরু করে । বাচ্চা থেকে বুড়ো কেউ ওই কুকুরটির কামড়ের হাত থেকে রেহাই পায় না । সকালে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রী ও ছোট শিশুদের উপরেও কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারুর কপাল তো আবার কারুর হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে মাংস খুবলে নেয় কুকুরটি । সুমিত্রাদেবী বলেন ,
কুকুরটি পাগল হয়ে গিয়েছিল বলেই তাঁরা মনে করছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান,এদিন সকালে তিনি তাঁর ছেলেকে যখন প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই কুকুরটি তাঁর ছেলের উপর জাঁপিয়ে পড়ে । তাঁর ছেলের কপালের মাংস কুকুরটি কামড়ে খুবলে নেয় ।একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাজিনা মল্লিক । তিনি বলেন ,
তাঁর মেয়েও টিউশন পড়তে যাবার সময় কুকুরটির কামড়ে মারাত্মক জখম হয়েছে ।
মন্তেশ্বর হাসপাতালের বিএমওএইচ তন্ময়
মণ্ডল জানিয়েছেন, “কুকুরের কামড়ে জখম শিশু ও বয়স্ক মিলিয়ে ৩০ জনের চিকিৎসা হাসপাতালে হয়েছে । জখমদের মধ্যে তিন জনের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে । বাকি সবার চিকিৎসা করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে“ ।এলাকার
পঞ্চায়েত প্রধান মুস্তাক আহমেদ শেখ বলেন,“
কামড়ে জখম হওয়া থেকে বাঁচতে এলাকার
মানুষজন কুকুরটিকে মেরে দিতে বাধ্য হয়েছে ।”
ছবি আছে ।।