সঞ্জয় মন্ডল,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ এপ্রিল : মুঘল হানাদার বাবর খ্রিস্টীয় ১৬তম শতাব্দীতে অযোধ্যার সুপ্রাচীন শ্রীরাম মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ নির্মান করেছিল । মন্দির রক্ষার্থে মৃত্যু বরণ করেন লক্ষাধিক হিন্দু যোদ্ধা । পরমারাধ্য প্রভু শ্রীরামের জন্মভূমি ফিরে পেতে হিন্দুদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ৫০০ বছর । দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে ২০১৯ সালে বাবরি মসজিদের জায়গার দখল পায় হিন্দুপক্ষ । সেই স্থানে নির্মিত মন্দিরর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় গত ২২ জানুয়ারী । শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির উদ্বোধনের পর দেশজুড়ে প্রথম রামনবমীর পূজার আয়োজন হচ্ছে আজ বুধবার । তাই এবারের রামনবমী পূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাড়তি উন্মাদনা ।
সারা দেশের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকেও রামনবমী পূজা উপলক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । মঙ্গলবার ভাতার বাজার জুড়ে গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে দেওয়া হয় । আজ বিকেলে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । পাশাপাশি ভাতার ব্লকের আমারুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে বজরংবলীর মন্দিরে ধুমধাম সহকারে রামনবমীর পূজানুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য ভক্ত। রামনবমীর পূজা উপলক্ষে ভক্তদের জন্য বিশেষ প্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে । প্রসাদে লুচি পনিরের তরকারি ও মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা ।
জানা গেছে, বিগত দশ বছর ধরে আমারুন বাসস্ট্যান্ডে বজরংবলীর পূজা হয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল বিহারী নামে এক ব্যক্তি এই বজরংবলী পূজার প্রচলন করেন । সেই থেকেই চলে আসছে বজরংবলীর আরাধনা । দেবতার নিত্যসেবা এবং ধুমধাম সহকারে বাৎসরিক পূজোর আয়োজন করা হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস যে যায় বজরংবলীর প্রতিষ্ঠার আগে আমারুন স্টেশন বাজারে প্রায় নিত্যদিন পথ দুর্ঘটনা ঘটত । কিন্তু সঙ্কোটমোচন ভগবান হনুমানের পূজা শুরু হওয়ার পর থেকেই পথ দুর্ঘটনার অনেকটাই কমেছে।।