এইদিন ওয়েবডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান, ১১ অক্টোবর: মাস দুয়েক আগে মঙ্গলকোটের শীতলগ্রামের গৃহবধূ স্বাতী হাজরা বাসে চড়ে আত্মীয়বাড়ি বর্ধমান শহরে যাচ্ছিলেন। যাত্রীবাহী বাসে ছিল ভিড়। ভাতারের গর্দানমারি বাসস্ট্যান্ড পার হতেই তিনি খেয়াল করেন তার হাতব্যাগের ভিতরে রাখা স্মার্টফোনটি নেই। বাসের মধ্যেই কেউ হাতসাফাই করেই নিক, বা কোনওভাবে বাসের ভিতর পড়েই যাক অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বাতীদেবী তার মোবাইল ফোন ফিরে পাননি। দুদিন পর ওই গৃহবধূ পুলিশকে জানান। জানানো হয়েছিল জেলা পুলিশের এসওজি সেলে। তারপর যদিও ওই বধূ তার স্মার্টফোন ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন ।
সোমবার এসওজি সেলের ওসি চিরঞ্জিত ঘোষের কাছ থেকে ফোন পান স্বাতীদেবী। তাকে বর্ধমান পুলিশ লাইনে দেখা করতে বলেন চিরঞ্জিতবাবু। এদিন সন্ধ্যায় স্বাতীদেবীর হাতে তার স্মার্টফোন তুলে দেয় জেলা পুলিশ। ফোন ফিরে পেয়ে আপ্লুত স্বাতীদেবী। তার কথায়,” আমি ভাবতেই পারিনি আমার ফোন ফিরে পাব। পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
সোমবার মহাষষ্ঠীর দিন প্রায় ৩৫ জন এভাবেই কার্যত সারপ্রাইজ পেলেন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। যাদের কারও স্মার্টফোন হারিয়ে গিয়েছিল। অথবা চুরি যায়। সোমবার তাদের হাতে সেসব স্মার্টফোন তুলে দেওয়া হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন,”বিগত কয়েকমাসের মধ্যে যেসব চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনের মধ্যে প্রায় ৫৫ টার মতন আমরা উদ্ধার করেছি। যাদের ফোন তাদের ডাকা হয়েছিল।অনেক আসতে পারেননি।
আজ ৩৫ জনের হাতে তাদের ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরাও পরে পেয়ে যাবেন।” জানা যায় এদিন বর্ধমান পুলিশ লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোনের মালিকদের হাতে ওইসমস্ত স্মার্টফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পুলিশ আধিকারিকরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা, কাটোয়া, বর্ধমান শহর এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেই মানুষজন আসেন। যাদের ফোন হারিয়ে বা চুরি গিয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ।।