এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,১২ মে : ইউক্রেনের ঝামিনি দ্বীপ (Zmiinyi Island) বা স্নেক আইল্যান্ড বর্তমানে রুশ বাহিনীর দখলে আছে । কিন্তু দ্বীপটি তারা পুরোপুরি দখলে পারেনি । এখনও সেখানে থাকা রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী । কিন্তু রাশিয়া শেষ পর্যন্ত যদি এই দ্বীপের দখল নিজেদের হাতে রাখতে পারে তাহলে রুশ বাহিনীর জন্য এটা ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে বলে মনে করছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিস থিংক ট্যাঙ্কের’ নৌ বিশেষজ্ঞ জোনাথান বেনথাম । একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন,’যদি রাশিয়ান সৈন্যরা স্নেক দ্বীপ দখল করতে সফল হয় এবং তাদের দূরপাল্লার বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করতে পারে, তাহলে তারা কৃষ্ণ সাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে এবং ইউক্রেনের দক্ষিণে সমুদ্র, স্থল এবং বায়ু নিয়ন্ত্রণ তাদের দখলে চলে আসবে । আর রুশ বাহিনীর জন্য এটা ‘গেম চেঞ্জার’ প্রমাণিত হবে ।’
ইউক্রেনের অন্তর্গত কৃষ্ণ সাগরে দানিউব ডেল্টার (Danube Delta) কাছে রয়েছে এই স্নেক আইল্যান্ড, সার্পেন্ট আইল্যান্ড বা জেমিনি দ্বীপটি । ৬৬৩ মাইল প্রস্থ বিশিষ্ট এই দ্বীপটি বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । জোনাথান বেনথাম বলেন, ‘রাশিয়া যদি এই দ্বীপে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম নিয়ে যাতে পারে তাহলে কৃষ্ণ সাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশ দূর পাল্লার মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবে । ফলে এটি রাশিয়াকে হামলা ও রক্ষণাত্বক শক্তি দেবে । এর মাধ্যমে রাশিয়া বিমান হামলার পূর্বাভাষ পেয়ে যাবে এবং ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর বিশেষ করে ওডেসার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রাখতে পারবে । কিন্তু দ্বীপটি অনেক ছোট হওয়ার কারণে সেখানে পুনরায় রশদ নেওয়ার বিষয়টি অনেক জটিল ব্যাপার ।’ তবে তাঁর মতে যতক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেন বা রাশিয়া পূর্ণ রূপে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদের দখলে আনতে না পারছে ততক্ষণ এই দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ কারোর হতেই থাকবে না ।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের শুরুতেই স্নেক আইল্যান্ডকে টার্গেট করে রুশ সেনা । তারা সেখানে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে ইউক্রেনীয় সেনারা তা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল । ফলে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় লড়াই । এখনও স্নেক আইল্যান্ডের দখল নিয়ে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ।।