এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেরেলি,১৫ জানুয়ারী : ইসলামে তিন তালাক ও বহু বিবাহের প্রবণতা আছে । যা একেবারেই নাপসন্দ উত্তরপ্রদেশের বদাউনের বাসিন্দা বছর ঊনিশের মুসলিম তরুনী ইলমা খানের । আর ইসলামের ওই দুই রীতি থেকে মুক্তি পেতে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে হিন্দু প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করলেন । ধর্ম পরিবর্তনের পর নিজের নাম রেখেছেন সৌম্যা । হিন্দু রীতি মেনে প্রেমিক সোমেশ শর্মার সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি । বেরেলির থানার অন্তর্গত সুভাষ নগরের অগস্ত্য মুনি আশ্রমে পণ্ডিত কেকে শঙ্খধর বৈদিক মন্ত্রচ্চারণের মধ্য দিয়ে তাঁদের বিবাহ পর্ব সম্পন্ন করেছেন ।
জানা গেছে,বাদাউন জেলার বিলসি থানার অন্তর্গত পারোলি গ্রামের বাসিন্দা ইলমা ওরফে সৌম্যা । তিনি দশম পাস । জন্মের প্রমাণপত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স বর্তমানে ১৯ বছর । দশম শ্রেণীর পর তাঁর পড়াশোনা ছাড়িয়ে দেওয়া হয় । তবে স্কুলে পড়ার সময় থেকেই একই গ্রামের বাসিন্দা সোমেশ শর্মার সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । সোমেশ দিল্লিতে বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করেন । মেয়েটি জানায়, আমি সোমেশের সঙ্গে স্কুল জীবন থেকে প্রেম করছি । বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল । তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে আমি বাধ্য হই ।’
জানা গেছে,মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে প্রথমে প্রেমিক সোমেশের সঙ্গে প্রয়াগরাজ চলে যান । তারপর ইউপির বেরেলির থানার সুভাষ নগরের অগস্ত্য মুনি আশ্রমে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা । সৌম্যা জানায় যে ইসলাম ধর্মে তিন তালাক ও একাধিক বিবাহ করার প্রবণতা দেখার পরই হিন্দু ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়েছিল । এমনকি মনে মনে তিনি কোনো হিন্দু যুবককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন । ইতিমধ্যে সোমেশের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । শেষমেষ প্রেমিককে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে সুরক্ষিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন সৌম্যা । কিন্তু বিয়ে করার পরে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি । সেই কারনে নিজের এবং স্বামীর জন্য নিরাপত্তা দাবি করেছেন ওই তরুণী । তিনি বলেছেন,’হামলার কথা মাথায় রেখে আমি এই মুহুর্তে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যেতে চাই না । নিরাপদ বুঝলে তবেই আমরা গ্রামে ফিরবো ।’
অন্যদিকে তথ্য অনুযায়ী, পন্ডিত কে কে শঙ্খধর গত ৯ বছরে ৬৬ জন মুসলিম মেয়েকে হিন্দু ছেলেদের সাথে বিয়ে দিয়েছেন । গত ৪০ দিনে ৪ টি মুসলিম মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন । শঙ্খধর বলেন, এই কারনে আমায় হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে । গত মাসে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তারপর আমি বেরেলির এসএসপিকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম ।।