এইদিন ওয়েবডেস্ক,নর্থ ক্যারোলাইনা,০৪ ডিসেম্বর : ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক শিক্ষিকা । গোপনেই চলছিল তাদের সেই সম্পর্ক । কিন্তু এই সম্পর্কের কথা কানাঘুষো হতে হতে পৌঁছে যায় পড়ুয়ার মায়ের কানে । কিন্তু এনিয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করলেও কিছুতেই কবুল করেনি ছেলে । শেষে নিজেই গোয়েন্দাগিরির সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ার মা । ছেলে কোথায় যায়, কি করে, তা শনাক্ত করতে তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করেন তিনি । সেই সূত্রে পৌঁছে যান একটা পার্কে । সেখানে গিয়ে দূর থেকে দেখেন শিক্ষিকার গাড়িটি অল্পবিস্তর দুলছে । সন্দেহ হওয়ায় কাছে যেতেই চোখ কপালে উঠে যায় পড়ুয়ার মায়ের । দেখেন শিক্ষিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছে তার ছেলে । আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার( North Carolina)ঘটনা ।
বছর ২৬-এর ওই শিক্ষিকার নাম গাব্রিয়েলা নিউফেল্ড(Gabriela Neufeld) । তার বাড়ি নর্থ ক্যারোলিনার বুনি’তে(Boone)। তিনি আপালচিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটি (Appalachian State University) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে সাউথ মেকলেনবার্গ হাইস্কুলের জীববিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন । স্কুলটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত । শিক্ষিকার প্রেমিক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র । ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্কে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন । পড়ুয়ার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ নভেম্বর শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মামলাটি আদালতে উঠলে বিচারকের কাছে ধৃত শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন যে তিনি ওই পড়ুয়ার সাথে অন্তত ৫ বার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছিলেন । যদিও নিউফেল্ডকে ৭৫,০০০ মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীর সাথে তিনি যাতে কোনও যোগাযোগ না করতে পারেন সেজন্য তাকে ইলেকট্রনিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতো বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারক ।এনিয়ে আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছে।
শুনানির দিন শিক্ষিকার পরিবার এবং শিক্ষার্থীদের একটি দল আদালতে উপস্থিত ছিল। স্কুলটির প্রিন্সিপ্যাল মার্ক অ্যাঙ্গেরার এক বার্তায় অভিভাবকদের বলেছেন, যদিও আমি ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না, তবুও বলতে হচ্ছে এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের উদ্বেগের বিষয়ে আমরা মূল্যায়ন করি। শিক্ষার্থী এবং স্টাফদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও যখন এমন হতাশাজনক ঘটনা ঘটে, তখন তা আইন প্রয়োগকারীরা দেখবে ।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কের বয়স ১৮ বছর। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী উভয়কে একই রকম অভিযোগে অভিযুক্ত করা হতে পারে । আইনি মারপ্যাচে দেখা হচ্ছে তাদের শারীরিক সম্পর্ক উভয়ের সম্মতিতে হয়েছিল কিনা । এক্ষেত্রে তারা ছাড় পেতেন যদি উভয়ে বিবাহিত হতেন। যদিও সাউথ ক্যারোলাইনাতে আইন ততটা কঠোর নয়। যদি একজন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের ওপরে হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে এই প্রকার আচরণে অভিযোগ লঘু হতে পারে ।।