প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ সেপ্টেম্বর : আইন অমান্য কর্মসূচির নামে দিন দুই আগে শহর বর্ধমানে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে । আর এবার বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় থাকা সিপিএমের ২ নম্বর এরিয়া কমিটির অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হওয়া এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও সব অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছে ।
সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচী গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় শহর বর্ধমানে।ওই দিন ওই আইন অমান্য কর্মসূচী ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানের কার্জনগেট চত্তর এলাকা।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা,পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর,শহরে থাকা বিশ্ববাংলা লোগো ভাঙা ও বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের কার্যালয়ে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে । এই ঘটনায় ৪৬ জন বাম নেতা ও কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও শহর বর্ধমানে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েই থাকে ।
তারই মধ্যে গত বুধবার রাতেই বর্ধমানের হাটুদেওয়ান এলাকার একটি সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।সিপিএমের ওই পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল দিকে । এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে ফের শহর বর্ধমানের নীলপুরে থাকা সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেন বাম নেতৃত্ব ।এই বিষয়ে জেলা সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগে বলেন ,“গত ৩১ আগষ্ট বসমেদের আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিসের সামনে। তার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাচ্ছে। নীলপুরে থাকা সিপিএমের ২ নম্বর এরিয়া কমিটির অফিসেভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পার্টি অফিসের বাইরে থাকি শহীদ বেদিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পার্টি অফিসের দরজায় লাগানো থাকা তালা ভেঙে অন্য তালাও তৃণমূলের লোকজন ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন ।’ অন্যদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন,’তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে আক্রমণ করছে।আসলে তৃণমূল ভয় খেয়েছে। তাই আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করছে ।’
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,’কোন পার্টি অফিসে হামলার ঘটনা ঠিক নয়। তবে এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। সিপিএম নিজেরাই এই কাজ করতে পারে। ৩১ আগষ্ট সিপিএম তাণ্ডব চালিয়ে বিশ্ববাংলা লোগো থেকে শুরু করে বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। দলের নির্দেশে আমরা শান্ত আছি। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। উদ্দেশ্য প্রণোদিত
ভাবে সিপিএমের নেতারা এইসব মিথ্যা
অভিযোগ তুলছেন ।।