এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ ডিসেম্বর : আজ শনিবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামের একটা অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,’,আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যে সম্প্রদায় বাংলায় তো ৩৩ শতাংশ, গোটা ভারতে আমরা মাত্র ১৭ শতাংশ । আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলা হয়৷ কিন্তু আমরা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু ভাবি না৷ যদি আমাদের উপর আল্লাহর রহমত থাকে, আমাদের সঠিক তালিম থাকে তাহলে আমরা একদিন সংখ্যা গুরুপ থেকে সংখ্যাগুরু হতে পারি । যদি আল্লাহর মেহেরবানী হয় তাহলে আমরা নিজেদের তাকতে এটা অর্জন করব ।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্নেহধন্য ফিরহাদের এহেনও মন্তব্যকে ‘ভয়ংকর কথাবার্তা’ বলে অবিহিত করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘এখন তো ওদের মাত্র ৪৬ টা এমএলএ,যেদিন ১০০ টার ওপর এমএলএ হবে সেদিন পিসি মমতা ব্যানার্জি এবং ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি আর জায়গা পাবে না । ভারতে আর সংবিধান বলে কিছু থাকবে না মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের আইন চালু হয়ে যাবে দেশজুড়ে ।’
আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় সাংবাদিকরা ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাইলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির জেনে রাখুক, এখন তো ওরা মাত্র ৪৬ টা এমএলএ হয়েছে৷ যেদিন একশোর ওপরে এমএলএ হবে সেদিন মমতা ব্যানার্জি আর ভাইপোর কোন জায়গা থাকবে না । ওরা যেদিন একশো পেরিয়ে যাবে সেই দিন পিসি ভাইপোর ল্যাটাও চুকে যাবে.. এটা আমি বলতে পারি । তৃণমূলের হিন্দুর নেতারাও শুনে রাখুন ।’ তিনি বলেন,’এখন একটু একটু ছোট ছোট আপনারা শর্ট ফিল্ম দেখছেন । সন্দেশখালীর এমএলএর মার খাওয়া দেখেছেন । মিনাখাঁর এমএলএর মার খাওয়া দেখেছেন । সুশান্ত ঘোষের গুলি খাওয়া দেখেছেন । একটু একটু দেখছেন ছোট ছোট শর্ট ফিল্ম । এরপরে পুরো ফিল্ম দেখাবেন ।’
ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যকে ভয়ংকর কথাবার্তা’ বলে অভিহিত করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’ভয়ংকর কথাবার্তা… পশ্চিমবঙ্গে আমরা ৩৩ শতাংশ আর ভারতে আমরা ১৭ শতাংশ । আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে হবে । তার মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে সংবিধান চলবে না । সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশে যা হবার তাই হচ্ছে । একসময় আফগানিস্তানের কাবুল শহরের ব্যবসা শিখ এবং হিন্দুদের হাতে ছিল । একটা সময় ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি বড় বড় শহরগুলো হিন্দু, শিখ, পার্সিদের হাতে ছিল । আজ সেখানে কার্যত শূন্য করে দিয়েছে । যখন ওরা পঞ্চাশ শতাংশ পেরিয়ে যায় তখন তো আর সংবিধান চলে না । তখন মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের যে আইন আছে সেটা চালু করা হয় । স্বাভাবিকভাবেই উনার কথাবার্তা খুব ভয়ংকর ।’
তিনি বলেন,’এর আগে উনি দাওয়াতে ইসলাম দিয়েছিলেন । বলেছিলেন আমি খুশি হব যদি বাংলার পঞ্চাশ শতাংশের বেশি মানুষ উর্দুতে কথা বলে । অর্থাৎ উনি অনেক আগে থেকেই চান যে উনার ধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ গ্রহণ করুক৷ উনি যে ভাষায় স্বচ্ছন্দ সেই ভাষায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কথা বলুক সেই স্বপ্ন উনি দেখেন । তা আজকে তৃতীয় সংযোজন করেছেন যে ওনাদের সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা ভারতে৷’
তিনি বলেন, এরপরেও যদি হিন্দুরা যদি একজোট না হয় তাহলে কাঁথিতে ভজন বাজানোর জন্য যেভাবে হিন্দুদের মার খেতে হল, একের পর এক পুজো মন্ডপে হামলা হল, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারবার হবে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ওদের (মুসলমান)যদি পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা করেও দেন তাহলেও ওদের ভোট মোদীজিকে হারানোর জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে পড়বে । আর আমাদের মধ্যেও অভাব অভিযোগ আছে… কোথাও লক্ষীর ভান্ডার কাজ করে…কোথাও অন্য জিনিস কাজ করে…কোথাও শান্ত প্রকৃতির হিন্দুরা আটকে দেয় । কাছাকাছি এমন এলাকা আছে যেখানে হিন্দুরা ভোট দিতে পারেনি । ক্যানিংয়ে,জীবনতলা, হাওড়া, বাদুড়িয়া প্রভৃতি অসংখ্য জায়গায় ভোট দিতে পারেনি ।’।