দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২০ জুন : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় দাঁইহাটে টোটোচালককে বেঁধে রেখে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে । এবার তাদের জেরা করে চক্রের মূল পান্ডা সাধূ শেখ ওরফে মকাই দফাদারের হদিশ পেলো পুলিশ । বীরভূম জেলার নানুর থানার নবস্থা গ্রামে তার বাড়ি । বর্তমানে সে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি । তাকে সোন আ্যরেষ্ট দেখিয়ে সোমবার কাটোয়া আদালতে তুলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ।
উল্লেখ্য,গত মার্চ মাসে ছিনতাইবাজদের কবলে পড়েন দাঁইহাটের পাইকপাড়ার বাসিন্দা টোটো চালক রিপন শেখ । ওই দিন সন্ধ্যার দিকে যাত্রী সেজে তার টোটোয় উঠে দাঁইহাটের একটি ইঁটভাটার কাছে নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে ১৭৩০০ টাকা, মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, সহ আরও কিছু কাগজপত্র লুটপাট করে কয়েকজন ছিনতাইবাজ । পরে সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে সায়েদ আলি শেখ, নিরঞ্জন কীর্তনিয়া এবং মানাই শেখ নামে ৩ দুষ্কৃতী চিহ্নিত করে পুলিশ । নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তিন দুস্কৃতী দাঁইহাটে ফের অপরাধমূলক কাজের উদ্দেশ্যে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে । পুলিশ তাদের জেরায় করে দলের পান্ডা মকাই দফাদারের নাম জানতে পারে ।
জানা গেছে, পুলিশের খাতায় একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে চিহ্নিত মকাই । নানুর থানায় ধর্ষণসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে । কিন্তু সে নানুর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঝাড়খণ্ড পালিয়ে যায় । পরে নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়ায় এসে ঠেক করে । বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য এক বিধবা মহিলাকে নিয়ে বসবাস শুরু করে মকাই । পাশাপাশি সে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির একটি চক্র চালিয়ে আসছিল । ওই চক্র চালানোর সময় একটি সোনারূপোর দোকানে ডাকাতির পর নিজেরই এক সঙ্গীর গলা কেটে গঙ্গায় লাশ ভাসিয়ে দেয় । শেষে তাকে কেরালা থেকে গ্রেফতার করে আনে পুলিশ । পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,শনিবার কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারের মধ্যে মকাইয়ের টিআই প্যারেড করানো হলে তাকে চিনে ফেলে টোটো চালক রিপন শেখ । রিপন পুলিশকে জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনার দিন মকাই তার বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ধরেছিল । আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক ।।